নকলা সংবাদদাতা : শেরপুরের নকলা উপজেলা ভূট্টার চাষ ক্রমেই বেড়ে উড়ছে। গত কয়েক বছর ধরেই এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ভূট্টার চাষ হচ্ছে বোরো ধানের একটি বিকল্প ফসল হিসাবে। যে সব জমিতে বোরো ধান উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। যেসব জমি ভূট্টা চাষের জন্য উপযোগী । এ বছর নকলা উপজেলার ৫ হাজার ১শত ৮৭ একর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছে। গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকে ভূট্টার চাষ শুরু হয়েছে। দোঁআশ মাটি ভূট্টা চাষের জন্য উপযোগী। বর্তমানে মাঠে ভূট্টা কর্তনের সময় ,ভূট্টাগাছ কাটা শুরু হয়েছে। প্রয়োজনমত রাসায়নিক সার এবং গোবর সার প্রয়োগ করে এ ফসলের ভালো ফলন পাওয়া যায়। একরে প্রায় ১২০-১৫০ মন ভ্ট্টূা কৃষকরা ঘরে তুলতে পারে। বোরোর বিকল্প ফসল হিসাবে কৃষকরা এখন ভূট্টার চাষ করছে। ঘক৪০, ঘক৭৭২০, পাইওনিয়ার সুপার সাইন ২৭৬০, কাবেরী যোবরাজ ব্রাকসীড প্রভূতি বিভিন্ন জাতের ভূট্টার চাষ হয় এ উপজেলা বিভিন্ন গ্রামগুলোতে। কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল জানায়, বোরো ধান চাষে অধিক খরচ হয় তাই গত বছর অল্প জমিতে ভ’ট্টা চাষ করে অধিক লাভবান হয়েছিলাম। এই বছর চার একর জমিতে ভ’ট্টা চাষ করেছি। এতে বীজ ক্রয় সহ প্রায় ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। একরে ১০০ মনের মত ভ’ট্টা উৎপাদিত হলেও দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা লাভ হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, বোরো চাষে শ্রমিক খরচ এতো বেশি হয় যে, ফলনে আসল উঠে আসাই কঠিন হয়ে যায়। ভ’ট্টা উৎপাদন খরচ কম ফলন বেশি লাভও অনেক বেশি। গবাদি পশু সহ বিভিন্ন পশুপাখি ও মৎস্য খাবার প্রস্তুত করণে ভ’ট্টার অবদান অনেক বেশি। তাই বাজারে ভ’ট্টার দাম ভাল। কৃষকরা সহজেই তাদের কাঙ্খিত মূল্য পায়। ফলে উত্তর উত্তর ভ’ট্টার আবাদ বেড়েই চলেছে। সরকারী প্রনোদনা যদি আর বাড়ানো যায় এই আবাদ আর বাড়বে বলে আসা করছি।