পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজের বাড়ি ও ব্যবসায়িক কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় জাতীয় পার্টির (মঞ্জু সমর্থিত) নেতাকর্মীরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান মিরাজ। এ হামলায় স্থানীয় উপজেলা ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী আহত হন।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাতে জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলা তেলিখালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বহুতল ভবনের বিভিন্নস্থানে ভাঙচুর করাসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ৩টি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে।
অপরদিকে জাতীয় পার্টির (মঞ্জু সমর্থিত) নেতাকর্মীরা পাল্টা অভিযোগে জানান তেলিখালীতে একটি ইফতার পার্টি শেষে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালালে তাদের ৩/৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
ভান্ডারিয়ার পরিষদ চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম মিরাজ জানান, তেলিখালীতে একটি ইফতার পার্টি শেষে জেপির দলীয় নেতাকর্মীরা ভান্ডারিয়ায় ফেরার পথে স্থানীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এর কিছু সময় পরে জেপির নেতাকর্মীরা দেশীয় নানা অস্ত্র নিয়ে তার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে তারা বহুতল ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করতে চাইলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও হামলা চালান এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দেন। হামলায় উপজেলা ছাত্রলীলগের ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
স্থানীয় জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম উজ্জল জানান, তেলিখালী ইউনিয়নে একটি ইফতার অনুষ্ঠানে গেলে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং হামলায় তাদের ৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে ও কার্যালয়ের হামলার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিকুজ্জামান জানান, তেলীখালী এলাকায় একটি ইফতার পার্টি শেষে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও জেপির গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।