হারলে ডেভিডসন ও হিরো মোটোকর্প মিলে ভারতের মার্কেটে জন্য একটি নতুন বাইক তৈরি করছে। সিঙ্গেল সিলিন্ডারওয়ালা এই বাইক বাজারে প্রধানত রয়েল এনফিল্ড বাইকের সঙ্গে টক্কর দেবে। এখন এই বাইকের ছবি ইন্টারনেটের লিক হয়ে গিয়েছে। দেখতে এই দুর্দান্ত বাইককে বলা হচ্ছে যে, এই হার্লে ডেভিডসনের সবচেয়ে সস্তা বাইক হবে এটি। খুব দ্রুত ভারতের রাস্তায় নামতে চলেছে।
হার্লের সবচেয়ে সস্তা বাইক
গণমাধ্যমের খরব, এই বাইকের স্টাইলিং ওয়ার্ক হার্লে ডেভিডসন দ্বারা করা হয়েছে। যেখানে এর ইঞ্জিনিয়ারিং, টেস্টিং ও এটি সম্পূর্ণভাবে ডেভলপ হিরো মোটরস দ্বারা করা হচ্ছে। দেখতে একটি খুব স্টাইলিশ ও এর মধ্যে হার্লের ডিএনএ দেখতে পাওয়া যাবে। ইন্টারনেটে ভেসে বেড়ানো ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কোম্পানি বাইক ডে-টাইম রানিং লাইট ব্যবহার করেছে। আর উপরে হার্লে ডেভিসন লেখা রয়েছে।
ইঞ্জিনের ক্ষমতা
হার্লে ডেভিসনের এই নতুন বাইক কোম্পানি ৪০০ সিসি ক্ষমতা সম্পন্ন সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে। বাইকের পেছনে দেওয়া নম্বর প্লেটে দেখা যাচ্ছে যে এরপরে এইচডি ফোর এক্স এক্স লেখা রয়েছে। এটি বাইকের ইঞ্জিনের ক্ষমতা সংকেত বলে মনে করা হচ্ছে।
বাইকের ফ্রন্টে টেলিস্কোপিক ফর্কের বদলে ইউএসডি ফর্ক দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে পেছনের দিকে ট্র্যাডিশনাল বানানো হয়েছে। পেছনের দিকে টুইন শক অবজারভার দেওয়া হয়েছে। বাইকের দুটি মাথাতে বাইরের ডিস্ক ব্রেক ও ডুয়েল চ্যানেল এবিএসও পাওয়া যাচ্ছে। এতে কোম্পানি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের ব্যবহার করেছে।
দাম কেমন হবে?
আপাতত এই বাইকটি টেস্টিং মোডে রয়েছে ও এটি লঞ্চের আগেই বাইকের দাম সম্পর্কে মনে করা হচ্ছে এই বাইকটি যতটা কম সম্ভব সেই দাম রাখা হবে। হতে পারে এই বাইকটি আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ টাকার মধ্যে থাকবে। বাজারে আসার পরে এই বাইকের লড়াই হবে রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক থ্রি ফিফটি সঙ্গে।
লঞ্চ কবে হবে?
এখন এই বাইকের লঞ্চের বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনোরকম তথ্য দেওয়া হয়নি। কিন্তু মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কোম্পানি এই বাইকটি আগামী জুলাই-আগস্টে বাজারে ছাড়তে পারে। হতে পারে যে বাইক দিওয়ালির সময়ে বিক্রির জন্য লঞ্চ করা হবে।