নিজস্ব সংবাদদাতা : ভাষার মাসে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার একমাত্র জীবিত ভাষা সৈনিক এবং একমাত্র বীর প্রতীকের বাসায় গিয়ে তাদের শারীরিক অবস্থার খোজ খবর নিয়েছেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা। গতকাল ২৩ ফেব্র“য়ারি সন্ধায় ৫২ এর ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীণ রাজনীতিবীদ মোঃ বদিউর রহমান তালুকদার ও মহান মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত বীর প্রতীক মোঃ এনায়েত হোসেন সুজা মিয়ার বাসায় যান এবং দুই বিশিষ্ট ব্যাক্তির শারীরিক অবস্থার খোজ খবর নেন। তারা দীর্ঘদিন থেকে বার্ধক্য জনিত সমস্যায় ভুগছেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সরাসরি অংশ গ্রহণ করে ছাত্রত্ব হারিয়েছিলেন বদিউর। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে তাকে বহিষ্কার করা হয় এবং গ্রেফতারী হুলিয়া জারী করা হয় পালিয়ে পালিয়ে দিন পার করেন, সেসময় আর মেট্রিক পাশ করতে পারেননি। ১০ বছর পর মেট্রিকুলেশন পাশ করে বয়স বাড়ার কারনে আর উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারেননি। গত ২১ ফেব্র“য়ারির দিন বয়সের ভার আর শারীরিক অসুস্থতার কারনে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যেতে না পারায় বদিউর রহমান তালুকদারের দুই মেয়ের হাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। তিনি সেই অনুষ্ঠানে আসতে না পারায় আজ নিজে গিয়ে দেখা করে আসলেন। তাদের যে কোন সমস্যায় তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, এমপি আবুল কালাম আজাদ এর ব্যক্তিগত সহকারী বিকাশ কবির ইমরান এবং ভাষা সৈনিকের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইউ এন ওর এই উদ্যোগে অত্যন্ত খুশী হয়েছেন ভাষা সংগ্রামী আর মহান মুক্তিযুদ্ধের এই দুই বিশিষ্ট ব্যাক্তি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, তাদের সম্মান জানাতে শারীরিক অবস্থার খোজ খবর নিতে তাদের বাসায় গিয়েছিলাম, তাদের জীবনের অনেক অজানা গল্প সুনলাম খুব ভালো লেগেছে। আমরা ভাষার মাস উপলক্ষে যে স্মরণিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছি সেখানে তাদের কথা আসবে।