কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নার্স রিমা প্রামাণিকের (১৯) মৃত্যুর ঘটনায় আজ দুপুরে নিহতের বাবা সেন্টু চন্দ্র প্রামাণিক বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) ভোরে এ মামলায় ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হানিফুর রহমান সুমনকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
আজ দুপুরে রিমার বাবা সেন্টু প্রমাণিক বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে ভৈরব থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন হাসপাতালের এমডি হানিফুর রহমান সুমন (৩৫) ও নার্স লিজাসহ (২৪) অজ্ঞাত ৩/৪ জন।
এর আগে গতকাল (১১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে নার্স রিমা প্রামাণিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রিমা পার্শ্ববর্তী জেলা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিরিজকান্দি গ্রামের সেন্টু প্রামাণিকের মেয়ে। তিনি ভৈরবের ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড অর্থোপেডিক সেন্টারে নার্স হিসেবে দুই বছর ধরে কর্মরত ছিলেন।
রিমার বাবা সেন্টু চন্দ্র প্রমাণিক বলেন, আমার মেয়ে ঈদের আগে (বুধবার) ছুটিতে বাড়ি আসে। ঈদের এক দিন আগে (শনিবার) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ফোন দিয়ে হাসপাতালে ডিউটি করতে আসতে বলে। আমার মেয়ে ঈদের দিন ডিউটি করল। ওই রাতেই ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফোন দিয়ে বলে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
খবর পেয়ে আমরা সোমবার ভোরে হাসপাতালে এসে দেখি রিমার লাশ হাসপাতালের নিচের কক্ষে শোয়ানো। সে আত্মহত্যা করলে তার ৫ তলার শয়ন কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকত। তার লাশ রুম থেকে বের করা হলো কেন?
তিনি আরও জানান, পুলিশের সুরুতহাল রিপোর্টে আমার মেয়ের যৌনাঙ্গে রক্তের দাগ রয়েছে বলা হয়েছে। তারা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে গলাটিপে হত্যা করেছে। আমি গতকাল না বুঝে অপমৃত্যুর মামলা করেছিলাম। আজ হত্যা মামলা করেছি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। হাসপাতালের এমডি সুমনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।