মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার শেরপুরে চলছে দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘মাছের মেলা’। তবে এই মেলায় প্রতিবছর বসে জমজমাট জুয়ার আসর, পুতুল নাচের নামে অশ্লীল নিত্য পরিবেশন ও মাদকের হাট। তবে অভিযোগ উঠেছে বরাবরই নিরব ভূমিকা পালন করে স্থানীয় প্রশাসন।
পৌষ সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে দুই দিনব্যাপী মাছের মেলা বসেছে। তিন একর এলাকা জুড়ে বসেছে ৩০০টিরও বেশি মাছের দোকান। এসব দোকানে একদিনেই বিক্রি হয় ৩ কোটি টাকার মাছ।
করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত দুই বছর বন্ধ থাকার পর সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব পৌষ সংক্রান্তিকে উপলক্ষ করে শুক্রবার শুরু হয় তিন দিন ব্যাপী মাছের মেলা। মেলা শুরুর প্রথম দিন সন্ধ্যার পর প্রশাসনের কর্মকর্তারা মেলা পরিদর্শন করেন। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শুরু হয় জুয়ার আসর ও মাদকের হাট।
তবে এই মেলায় রাতে বসে মাছের নয় জুয়া ও মাদকের জমজমাট হাট। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশ ও শেরপুর ফাঁড়ি পুলিশের সামনেই চলছে এসব অপকর্ম। এতে করে পথভ্রষ্ট হচ্ছে মেলায় আসা যুবকরা।
জানা যায়, প্রতি বছর পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। গেল দুই বছর করোনাভাইরাস ও ওমিক্রন সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এই মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে এ বছর ঐতিহ্যবাহী এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সুযোগে মেলার নামে কিছু অসাধু লোক গভীর রাত থেকে চলছে জুয়া।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই কর্মযজ্ঞ চলছে। টানা তিন দিন মেলায় সাথে চলবে এসব জমজমাট আসর। এসব আসর থেকে হাতিয়ে নেতা হচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। তবে বিষয়টি নিয়ে মেলা আয়োজক কমিটির কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মৌলভীবাজার সদর থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, আমি ছুটিতে আছি। এ বিষয়ে আমি জানি না। ওসি তদন্তের সঙ্গে কথা বলুন।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, আমরা দুপুরে বিষয়টি জানার পর অভিযান চালিয়েছি।