দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় এক শিশু (৮) নিখোঁজের দুদিন পর তার মাটিতে পুঁতে থাকা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার পাকেরহাট আরাজি গ্রামের একটি বাড়ির আঙিনা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
খামারপাড়া ইউনিয়নের কায়েমপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ আসামি শরিফুল ইসলামকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর খানসামা উপজেলায় শিশুটিকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিজের সাইকেলের পেছনে উঠিয়ে নেন প্রতিবেশী শরিফুল ইসলাম (২৪)। এরপর পুরো বিকেল সাইকেলে ঘুরিয়ে সন্ধ্যার দিকে ওই শিশুকে নিজের বাড়িতে নিয়ে কৌশলে আটকে রাখেন শরিফুল। রাতে ছেলের বাবাকে কল করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তিনি। মুক্তিপণ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই রাতেই শিশুকে বলাৎকার করে। এরপর শরিফুল শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দী অবস্থায় নিজ বাড়ির আঙিনায় পুঁতে রাখেন।
শিশুর পরিবার ও খানসামা থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর বিকেলে কায়েমপুর গ্রামে বাড়ির পাশে খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি। এরপর রাত প্রায় ৮টার দিকে মুঠোফোনে একটি নম্বর থেকে শিশুর বাবাকে ফোন করে অপহরণের কথা বলা হয়। এ সময় মুক্তিপণ দাবি করা হয় এক লাখ টাকা। ওই রাতেই শিশুর বাবা আতিউর থানায় একটি জিডি করেন। পরে মুঠোফোনের নম্বর ও প্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে শরিফুল ইসলামকে (২৩) আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিশুকে অপহরণের ও বলাৎকারের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেন। এরপর শরিফুলের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মরদেহ উদ্ধার করে।
খানসামা থানা পুলিশের অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, ঘটনাটি জানার পর থেকেই শিশুকে উদ্ধারে পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ চালিয়ে যায়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্দেহজনক শরিফুলকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অপহরণ ও হত্যার মামলা
দায়ের করেছেন।