জামালপুর : জামালপুরের মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। একসময়ে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিলো গান্ধী আশ্রম, যার পরিবর্তীত নাম “মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর”। সেখানে আলোকচিত্র, স্মৃতিচিহ্ন আর সরঞ্জামের মাধ্যমে বৃটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জল ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। ইতিহাসের দুর্লভ সব স্মৃতিচিহ্ন দেখতে প্রতিদিনই নানা পেশার মানুষ আসেন এই মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘরে।
জামালপুরের কাপাশ হাটিয়া গ্রামে “মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর” অবস্থিত। গান্ধীর স্বদেশী চেতনাকে ধারণ করে নাসির উদ্দিন সরকার নামে এক ভক্ত, ১৯৩৪ সালে জামালপুরের কাপাশ হাটিয়ায় নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন গান্ধী আশ্রম। দেশ ভাগের পর ১৯৪৮ সালে আশ্রমটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে ২০০৭ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে ফের তা গড়ে তোলা হয়। যার নাম দেয়া হয়েছে “মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর”। সেখানে স্থান পেয়েছে বৃটিশবিরোধী ও ভাষা আন্দোলন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ ইতিহাসের নানা গর্বের দুর্লভ আলোকচিত্র এবং স্মৃতিচিহ্ন। যা দেখতে প্রতিদিনই জাদুঘরে ভিড় করছেন, শিক্ষার্থী ও নানা পেশার মানুষ।
প্রতি বছরে মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর পরিদর্শনে আসেন অন্তত ৪০ হাজার দর্শনার্থী। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আলোকিত হবে, সেই আকাঙ্খা থেকেই কাজ করে চলেছেন বলে জানালেন, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা।