মোহাম্মদ আলী : খালের নাম কিলাকিলি। এখালের একাংশে নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ। যার দুই পাশে নেই সংযোগ সড়ক। এছাড়া রয়েছে ক্ষেতের ফসল ও আবাদী জমি ধ্বংসের আশঙ্কা। অথচ ওই খালের যে অংশে আগে থেকেই সংযোগ সড়ক রয়েছে, রয়েছে হাট বাজার স্কুল, সে অংশের একটি ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়ে বছরের পর বছর ধরে অতিকষ্টে যাতায়াত করছেন কয়েক গ্রামের মানুষ। সেখানে কোনো ব্রিজ নেই। এমন জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ ও জনগুরুত্বপূর্ণ সাথে ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন এলাকাবাসী। জনগণের জন্য অকল্যাণকর এমন নির্মাণ বন্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু, আদালতের সে আদেশ অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোর্ট ভায়লেশন মামলা করেছেন মামলার বাদী। মামলা নং- ১১৮/২০২২ ও৭/২০২৩ বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত, মেলান্দহ জামালপুর।
জানা যায়, গত ২০২১ ও ২২ অর্থবছরে ত্রাণ ও পূণর্বাসন মন্ত্রাণলয়ের অর্থায়ণ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ও কুলিয়া ইউনিয়নের সীমান্ত কিলাকিলি ব্রিজের উপর নির্মিত হচ্ছে ১৫ মিটার পাকা ব্রিজ।
কিন্তু, নির্মাণাধীন এব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নেই। নেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বরং ব্রিজটি নির্মিত হলে সংযোগ সড়ক বা লিঙ্ক রোড নির্মাণ করতে নষ্ট হবে ক্ষেতের ফসল ও আবাদী জমি। অথচ ওই খালের যে অংশে আগে থেকেই সংযোগ সড়ক রয়েছে, রয়েছে হাট বাজার স্কুল, দীর্ঘদিন যাবত একটি ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়ে অতিকষ্টে চলাচল করছেন কয়েক গ্রামের মানুষ। সেখানে ব্রিজ নেই । তাই, কৃষি ও কৃষকের হুমকি স্বরূপ অপ্রয়োজনীয় স্থানে ব্রিজ না করে জনগুরুত্বপূর্ণ উপযুক্ত স্থানে ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষে আদালতে মামলা করেন স্থানীয় কৃষক আঃ খালেক।
আদালত তার মামলাটি আমলে নিয়ে দীর্ঘ শুনানির পর কিলাকিলি খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজটির নির্মাণ কাজ বন্ধের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু, তারপরেও নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোর্ট ভায়লেশন মামলা করেছেন বাদী। এদসত্বেও বন্ধ হয়নি নির্মাণ কাজ।
গেল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলমান দেখা গেছে।
এসময় এলাকাবাসী জানান, কিলাকিলি ব্রিজের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজটি জনগণের কোনো কাজে আসবে না। এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত প্রকল্প। এটি নির্মিত হলে অপচয় হবে সরকারি। ধ্বংস হবে কয়েক একর আবাদি জমি ও তার ফসল।
এব্যাপারে মেলান্দহ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা, আব্দর রাজ্জাক বলেন, আমাদের অজান্তেই কোর্ট ভায়লেশন হয়েছে। তবে, আমরা জবাব দিয়েছি। আগামী শুনানিতে আমরা আমাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করব।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম মিয়া বলন, মামলার বিষয়টি আমি পরিস্কার জানি না। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।