গরুর মারাত্মক রোগ ‘ম্যাড কাউ’ শনাক্ত হওয়ায় চীনে গরুর মাংস রপ্তানি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ব্রাজিলের পারা রাজ্যে গরুর মধ্যে ‘ম্যাড কাউ’ শনাক্ত হয়। এরপর বুধবার দেশটির কৃষি ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়, আপাতত মাংস রপ্তানি স্থগিত থাকবে। আর এ নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হবে।
চীন ও ব্রাজিলের মধ্যে হওয়া চুক্তির অংশ হিসেবে রোগ শনাক্ত হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য মাংস রপ্তানি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত ব্রাজিলের কৃষকদের জন্য বড় একটি ধাক্কা। কারণ বেইজিংয়েই সবচেয়ে বেশি মাংস রপ্তানি করে থাকেন তারা।
ব্রাজিলের কৃষি ও পশুসম্পদ মন্ত্রী কার্লোস ফাভারো এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘তদন্তের প্রত্যেক স্তরে তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বিশ্বে ব্রাজিলের মাংসের কোয়ালিটি নিশ্চিতের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি পরিচালিত হচ্ছে।‘
‘ম্যাড কাউ’ যেটি অফিসিয়ালি বোভিন স্পোঙ্গিফর্ম এনসেফালিটিস নামে পরিচিতি। পারা রাজ্যে গরুর বিরল এই রোগটি শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সেখানকার আঞ্চলিক কৃষি মন্ত্রণালয়।
তারা বিবৃতিতে বলেছে, ‘যেসব লক্ষণ দেখা গেছে তা নির্দেশ করছে এটি রোগটির বিরল অবস্থা, যেটি সাধারণত দেখা যায়। এই রোগ মানুষ এবং পশুপালকের জন্য তেমন ঝুঁকিপূর্ণ না।’
রয়টার্স জানিয়েছে, পারা রাজ্যের একটি গরুর মধ্যে ‘ম্যাড কাউ’ শনাক্ত হয়। ওইখানে আরও ১৬০টি প্রাণী ছিল। রোগটি শনাক্ত হওয়ার পর ওই খামারে একটি পরিদর্শক দল যায় এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শনাক্তকৃত স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সেটি কানাডার আলবার্তায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি রোগটির বিরল অবস্থা কিনা।
এর আগে ২০২১ সালে দুটি গরুর মধ্যে ‘ম্যাড কাউ’ শনাক্ত হওয়ার পর চীনে মাংস রপ্তানি স্থগিত করেছিল ব্রাজিল। যা প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল।
সূত্র: রয়টার্স