জামালপুর জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমাকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি দিতে কেন্দ্রীয় যুবমহিলা লীগের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ জানুয়ারি জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমা দুই শতাধিক স্বশস্ত্র লোকজন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রবীণ কর্মী মো. আবু সাঈদের বাড়ি বেআইনিভাবে জোরপূর্বক দখল করেন। ওই সময় আওয়ামী লীগের প্রবীণ কর্মী আবু সাঈদ বিশ্ব ইজতেমায় অবস্থান করছিলেন। রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড সংঘঠিত করার ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হয়। এতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হওয়ায় তাঁকে জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্বসহ সকল রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, আরেকপত্রে জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমাকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় যুবমহিলা লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর সুপারিশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ।
ওই পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দলীয় পরিচয়ের অপব্যবহার এবং শেখ হাসিনার ক্ষমতায়ন শীর্ষক রাজনৈতিক ভাবনার পরিপন্থি বিধায় ফারহানা সোমাকে বাংলাদেশ যুবমহিলা লীগ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা অতীব আবশ্যক। বিধায় তার পরিবর্তে যুবমহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রদানের জন্য সুপারিশ সহকারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই পত্র পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমাকে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, জামালপুর জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমার নেতৃত্বে শনিবার ১৪ জানুয়ারী ভোররাতে দুই শতাধিক লোকজন নিয়ে শহরের কাচারীপাড়ায় আওয়ামী লীগের প্রবীণ কর্মী ঠিকাদার আবু সাঈদের বাড়ী জোরপূর্বক দখল করেন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের ওই প্রবীণ কর্মীর মেয়ে শারমিন সুলতানা ছন্দা জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।