নাটোর থেকে নিখোঁজ গার্মেন্টসকর্মী আসমানি খাতুনকে গাজীপুর থেকে ৫ বছর পর উদ্ধার করেছে নাটোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
উদ্ধারের পর আসমানি খাতুন শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অমানবিক আচরণের কারণে নিজেকে আত্মগোপনে রাখার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন।
বুধবার (১ জুন) সকালে পিবিআই কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ২০১৮ সালে নাটোর সদর উপজেলার শিবদুর গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী আসমানি খাতুন শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অমানবিক আচরণের কারণে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। আসমানি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখায়, পরিবার তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি।
পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আসমানির বাবা আকবর আলী সরদার বাদী হয়ে আসমানির স্বামী, শ্বশুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় হত্যা করে গুম করা মামলা করেন। এ ঘটনায় শ্বশুর নুরুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে সদর থানা পুলিশ দুই বছর ধরে মামলার তদন্ত করার পর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য নাটোর পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পিবিআই গতকাল রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর সাহেব বাজার এলাকার শরিফের বাড়ি থেকে আসমানিকে দীর্ঘ ৫ বছর পর উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর আসমানি খাতুন জানান, নিজেকে আত্মগোপনে রেখে গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছিলেন। অভিমান থেকেই তিনি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছিলেন।