রৌমারীতে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট

রৌমারী সংবাদদাতা : পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমজমাট রৌমারীর গরু ছাগলের হাট। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের কোরবানির পশু কিনছে ক্রেতারা। তবে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও ক্রেতা বিক্রতার জমজমাট উপস্হিতিতে ঈদের আমেজে মুখরিত হয়ে উঠেছে হাট এলাকা। হাটে নিরাপত্তার সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাট ইজারাদার।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় আসন্ন ইদুল আজহায় কোরবানির জন্য ১৬ হাজার ৮ শতটি পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে স্হানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২ হাজার টি পশু পঠানো যাবে অন্যান্য জেলার কোরবানির পশুর হাটে। এ বছর উপজেলায় ১ হাজার ৮ শত ৭০ টি গরু ছাগল ভেড়ার ছোট বড় খামারে কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু মহিষ প্রস্তুত হয়েছে ৯ হাজার ২৫৯, ছাগল ৫ হাজার ৫০০, ভেড়া ২ হাজার ১১০ টি। সরেজমিনে রৌমারী সদর বিখ্যাত পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক, নসিমন, ভটভটিসহ নানা ভাবে হাটে পশু নিয়ে খামারি, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষেরা। হাটে মাঝারি গরুর সংখ্যাই বেশি। স্থানীয় খামারি রাশেদুল জানিয়েছেন, হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে তার ব্যাক্তিগত খামারে ৮ টি গরু লালন পালন করেছেন। যদি ভারত থেকে গরু বাজারে না আসে, খরচ পুষিয়ে কিছু লাভের আশা করেন। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে গরু নিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। গরু কিনতে আসা মমিনুল বলেন, গত কয়েক হাট ধরে রৌমারী হাটে গরু কিনতে আসি। বৃষ্টির কারণে গরু কিনা সম্ভব হয় না। তবে আজ সোমবার আকাশটা ভালো দেখা যায় এবং হাটে প্রচুর গরু উঠেছে। আজ সম্ভব হবে গরু কিনতে। ছাগল বিক্রেতা তামিম হাসান বলেন, ২ টি খাসি ছাগল এনেছিলাম। ১ টি বিক্রি করেছি। আবহাওয়া খারাপের কারণে অন্যটি বিক্রি করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে দাম মোটামুটি। উপজেলা প্রাণী কর্মকর্তা ডা: কামরুজ্জামান পাইকার বলেন, গরুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে। হাটে যে গরু, মহিষ ও ছাগল উঠেছে মোটামুটি প্রায় সব গুলি সুস্হ্য। হাটে দেশীয় গুরু মহিষের সংখ্যা বেশি। হাট ইজারাদার রাজু আহমেদ জানান, হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্হা রয়েছে। গরু মহিষ ও ছাগলের আমদানি আশানুরূপ। কেনা বেচা আরও বাড়বে। তবে হাট আগামী বুধবার ও শুক্রবার হবে। এ ছাড়াও নিরাপত্তার জন্য সেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে।