রৌমারীতে দিগন্তজুড়ে সবুজ ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

রৌমারী সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে দিগন্ত মাঠজুড়ে ইরি বোরো ধানের সবুজে সমারোহ। উপজেলার আশপাশের সকল কৃষকের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। বাতাসে ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা ও কাঁচা ধানের শীষ। সপ্তাহের মধ্যেই শীষে দানা বা চালে পরিনত হবে। এমন ধানে বাতাসে দুলে উঠছে প্রকৃতি। ধানের এমন দোলনা দেখে কৃষকের মন জুড়িয়ে দিয়েছে। যেন হারিয়ে যায় সবুজ মাঠে। দিগন্তজুড়ে সবুজ ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে মন জাগিয়েছে।
অনুকূল আবহাওয়া কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, আল্লাহর রহমত মাঝে মাঝে বৃষ্টি যথা সময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারনে বোরোধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক। এক সপ্তাহের মধ্যেই ধানের শীষ সবুজ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝিলিক দেবে মাঠের পর মাঠ। এ মাঠ ফসল দেখে কৃষকদের মুখ ফুটে উঠবে আনন্দের ছোঁয়া। শারি শারি উঠান ভরা সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষাণীর শুন গোলা। প্রধান খাদ্যশষ্য বোরোধান মৌসুমকে ঘিরেই স্বপ্ন এ উপজেলার কৃষকদের।
এবার ধানে সঠিক সার, কীটনাশক প্রয়োগ ও ভালো পরিচর্যায় ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মৌসুমে গতবারের চেয়ে বেশি ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রৌমারী, সুতির পার, নতুন বন্দর, চুলিয়ারচর, বড়াইবাড়ী, নওদা পাড়া, চান্দারচর, ইছাকুড়ি ও ইজলামারীসহ আশপাশের ইউনিয়ন গুলোতে ইরি বোরো ধানের মাঠে সবুজে সমারোহ। ধানের প্রতিটি জমিতে শীষ বাতাসে দোলা দিচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, অনুকূল আবহাওয়া, সার, কীটনাশক ও সঠিক পরিচর্যা এবং মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় ইরি বোরো ধান গত বারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। বৈশাখ মাসের ১৫/২০ দিন গেলেই ধান মাড়াই শুরু হবে। তখন ভরে উঠবে কৃষকের মন। সদর ইউনিয়নের বরাইবাড়ী গ্রামের ইউনুস আজগর আলী, আব্দুস সাত্তার, জহির উদ্দিন, রৌমারী গ্রামের দুলাল, রাশেদুল পাগলা, কাবিল উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি। কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বিগত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবো। রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলন ও উতপাদন বৃদ্ধির লক্ষ নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। এবার উপজেলায় বিভিন্ন জাতের ইরি বোরো ধান অর্জিত হয়েছে ৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে। প্রতিকুল আবহাওয়া ভালো থাকলে ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। “