রৌমারী সংবাদদাতা: পৌষের মাঝামাঝি এসে ভারতীয় আসাম ঘেষা ও ব্রম্মপুত্র পূর্বপাড় রৌমারী প্রত্যন্ত ও দ্বীপাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েই চরেছে। কনকনে শীতে অস্বস্তিতে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। ৪ যাবত দেখা মিলছে না সূর্যের। এই ঠান্ডার কবলে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার মতো রোগে। নাজেহালে দিনমজুর ও চরাঞ্চলের জনমানুষ।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখা যায়, শীতজনীত রোগীদের ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা নেয়ার চিত্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে আসা অধিকাংশ রোগী ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। সূর্যের আলো দেখা না মেলায় চারদিন কোয়াশায় ঢেকে থাকছে দিন। রাতে শোনা যাচ্ছে বৃষ্টির ফোটার মতো টপটপ শব্দ, আর হীমেল হাওয়ায় কনকনে শীতের তীব্রতা। কনকনে এই ঠান্ডায় চুপশে যাওয়া মানুষ গুলো নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। বেকায়দায় রয়েছেন চরাঞ্চলের পরিবার গুলো। তীব্র ঠান্ডার কারনে শ্রমীক, দিনমজুররা কাজ করতে যেতে পারছেনা। অনটন সংসারে স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে দিনাতীপাত করছেন।
রৌমারীর চরের বাসীন্দা আবু বক্কর, মোসলেমাসহ অনেকেই বলেন, গরিব পরিবারের শ্রমজীবি মানুষ আমরা অতি ঠান্ডায় একদিকে কাজে যেতে পারছি না, অন্যদিকে ঠান্ডায় আমাদের এখানকার ১ বছর বয়সী শিশুসহ বৃদ্ধ বয়সী লোকজন শ্বাসকষ্টে ভূগছে। চরাঞ্চলে চিকিৎসা দিতেও সমস্যায় পড়ছে। রৌমারী হাসপাতালে নিতে এই ধুধু বালুচর ভেঙ্গে যেতেও খুব কষ্টের বিষয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান জানান, সম্প্রতী শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার রোগী বাড়ছে। বর্তমানে হাসপাতালে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী ভর্তি আছে। তাদেরকে যতœসহকারে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও শতাধীক রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছে। তবে যে হারে রোগী বাড়ছে, এমন অবস্থায় থাকলে হাসপাতালের অক্সিজেনের সংঙ্কট হতে পারে। অক্সিজেনের বেশী প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেশকাতুর রহমান জানান, সরকারী ভাবে যে কম্বল দেয়া হয়েছিল, সে গুলি কয়েকদিন আগেই চেয়ারম্যানদেরকে দেয়া হয়েছে। তবে তীব্র শীতের জন্য আবারোও উর্দ্ধোতন কতৃপক্ষের নিকট চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হলেই আবার দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুবণ আখতারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, সরকারি ভাবে যে কম্বল দেয়া হয়েছিল। তা বিতরণ করা হয়েছে। আবার আসলে বিতরণ করা হবে।