টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর ও ধানশাইল ইউনিয়ন থেকে পানি নামলেও নতুন করে আরও দুই ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। শনিবার (১১ জুন) সকাল থেকে মালিঝিকান্দা ও হাতিবান্ধা ইউপির নিম্নাঞ্চল ডুবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুল মিয়া বলেন, রাত থেকে হঠাৎ করে গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চুলাও পানিতে ডুবে গেছে। তাই রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে।
হাতিবান্ধা ইউনিয়নের শরাফত মিয়া বলেন, চারদিকে পানি। আমরা কই যামু, কি করমু বুজবার পারতাছি না। গোয়ালের গরুগুলা উঁচা জায়গায় রাখছি। হাঁস-মুরগি-ছাগলসহ পশুগুলারে খাবার দিবার পারতাছি না। নিজেরাও কষ্ট করে খাটের ওপর থাকতাছি। পানি কবে নামব আল্লাহ জানেন।
ঝিনাইগাতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, বন্যার্ত এলাকার মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে চাল বিতরণের জন্য স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা দায়িত্ব পালন করছেন।