শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের উত্তর নাকশী গ্রামে ১১ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো. রাসেল (৩৫) নামে এক যুবককের পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০/৯/২০২২ইং তারিখে নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর নাকশী গ্রামের মৃত হাবন আলীর ছেলে মো. আঃ মজিদ (৩৫) তার বড় ভাই আঃ মতিন (৪০) এর নেতৃত্বে ৬/৭ জন সন্ত্রাসী কায়দায় মধ্য নাকশী গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে মো. সোহেল, মো. রাসেল ও তার ভাস্তে নাইমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এঘটনায় রাসেলের বাবা মো. আঃ মান্নান ৭ জনকে চিহ্নিত করে নালিতাবাড়ী বিজ্ঞ সি.আর আমলী আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার মোকদ্দমা নং ৪৪৪/২২।
এদিকে ওই চিহ্নিত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর থেকে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এছাড়াও মামলা দায়েরের পর থেকেই প্রভাবশালী আঃ মজিদ বাদী আঃ মান্নানকে মামলা প্রত্যাহার করার হুমকি দিয়ে আসছিল। অপরদিকে বাদী আঃ মান্নান মামলা প্রত্যাহার না করায় আবারো পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১১/৩/২০২৩ইং তারিখে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আঃ মজিদের নির্দেশে তার ভাই আঃ মতিন, হবিসহ ৬/৭ জন ধারালো অস্ত্রেশস্ত্র সজ্জিত হয়ে মো. রাসেলের পা কেটে টুকরো করে ফেলে এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলেছে।
এসব ঘটনায় এলাকাবাসী জানায়, মৃত হাবন আলীর ছেলে আঃ মজিদ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আঃ মজিদসহ অন্যান্য ভাইদের এমন কার্যকলাপে এলাকার নিরীহ মানুষ আতংকে থাকতে হয় বলেও এমন মন্তব্য অনেকের।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী মো. আঃ মান্নানের পরিবার পুলিশ সুপারসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা এবং নিরাপত্তা চেয়েছেন। এঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।