বুলবুল আহম্মেদ : শেরপুরে সাবেক উপজেলা কমান্ডার, আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুখলেসুর রহমান আকন্দ এর ওপর মাদ্রাসার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলা ঘটনার প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা। গতকাল শহরের টাউন হল মোরস্থ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে মৌখিক বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান আকন্দ। এ সময় তিনি বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আমি নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এর পক্ষে নির্বাচন করি। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়। এদিকে ছানুর পক্ষে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াত ও নাশকতা মামলার আসামিরা নির্বাচনী কাজ করেন। তারা নৌকার প্রার্থী পরাজিত হওয়ার পর থেকে আমাকে স্থানীয় অষ্টমীতলাস্থ আশরাফিয়া জামে মসজিদ, কাছিমুল উলুম হুসাইনিয়া মাদ্রাসা এবং স্থানীয় কবরস্থান কমিটির সভাপতির পদ থেকে বাদ দেয়ার জন্য হুমকি-হুমকি দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুমা আমি পূর্বের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি করতে যাই। এ সময় স্বতন্ত্র এমপির সমর্থিত স্বপন, আজাহার আলী, আব্দুল মজিদ, সোহেল আবু সাঈদসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং গায়ের পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলে। এদিকে আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা আমার সহযোগী আইনজীবী ও ভাতিজা মোঃ রাসেল রহমান আকন্দের উপরও চড়াও হয় তারা। এ সময় তাকেও কিল ঘুষি দিয়ে আহত করে। সেই সাথে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারা বলেন, তুই কিসের মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার গুষ্টি কিলাই ইত্যাদি। এই ঘটনার পর আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দদেরকে অবগত করি। সেই সাথে এ বিষয়ে পরবর্তীতে ২০ এপ্রিল শনিবার দুপুরে আমি শেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত শেরপুর সদর থানা পুলিশ এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাই সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও এ ঘটনার সাথে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আহত অ্যাডভোকেট রাসেল রহমান আকন্দ এবং শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানায়, দুই পক্ষের দু’টি পৃথক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Related Posts
ঝিনাইগাতীর গাড়ো পাহাড়ে সীমান্ত সড়কের ওপর বাজার
- AJ Desk
- February 11, 2024
ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় হলদীগ্রাম নামে বাজার রেকর্ড থাকার সত্বেও প্রতিদিন সীমান্ত […]
ঝিনাইগাতীতে গাছের চারা বিতরণ শেষে পুড়ে যাওয়া ভূমি অফিস পরিদর্শন
- AJ Desk
- August 12, 2024
ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা :শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় গতকাল রোববার দুপুরে ঝিনাইগাতীতে গাছের চারা বিতরণ শেষে পুড়ে যাওয়া […]
ঝিনাইগাতীতে এমপির নির্দেশে অটো, সিএনজি চালকদের চাঁদা দেয়া বন্ধ
- AJ Desk
- February 1, 2024
ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এ,ডি,এম শহিদুল ইসলাম উপজেলা আইন […]