Sunday, September 24, 2023
Homeরাজনীতিশ্রমিকের গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করতে নতুন আইন করা হচ্ছে

শ্রমিকের গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করতে নতুন আইন করা হচ্ছে

মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার এবং বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রীয় মালিকানার নীতিতে দেশ পরিচালনার কথা থাকলেও সরকার উল্টো পথে চলছে। লুটেরা পুঁজিপতিরা বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কল-কারখানাকে বন্ধ করছে। বিরাষ্ট্রীয়করণের নামে অবাধ লুটপাট অব্যাহত রাখছে। শ্রমিকের গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করতে নতুন নতুন আইন করা হচ্ছে। 

মে দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আজ সকালে এ সমাবেশ ও পরে লাল পতাকা মিছিলের আয়োজন করে।

সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্টির অন্যতম উপদেষ্টা শ্রমিক নেতা মন্জুরুল আহসান খান, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল  ইসলাম সেলিম, কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য শ্রমিক নেতা মাহবুবে আলম, শ্রমিক নেতা ইদ্রিস আলী।

মন্জুরুল আহসান খান বলেন, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে এখনও শ্রমআইন প্রতিষ্ঠা করা হয়নি বরং শ্রমিকের গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করতে নতুন নতুন আইন করা হচ্ছে। দেশের শ্রমআইনে শ্রমিকদের যতটুকু অধিকার দেওয়া আছে, ততটুকুও প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া হয় না। 

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন শ্রমজীবী মানুষের ওপর শুধু শোষণ নয়, তার যতটুকু শ্রমঅধিকার আছে তা দিনদিন খর্ব করার চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ও পরিপূর্ণ শ্রমঅধিকার বাস্তবায়ন হয়নি। সব শ্রমিক এখনো নিয়োগপত্র পায় না। বেঁচে থাকতে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে বাধ্য হয়। অধিকাংশ শ্রমিকের কাজের নিশ্চয়তা নেই।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, মে দিবসের বিপ্লবী প্রেরণায় শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শোষণমুক্তির সংগ্রাম অগ্রসর করতে হবে। চলমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করতে হবে।
 
মিহির ঘোষ বলেন, মহান মে দিবসে নতুন করে শপথ নিয়ে শ্রমিক শ্রেণিকে সব ধরনের শোষণ-নির্যাতন-নীপিড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ তীব্র সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এ এন রাশেদা বলেন, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। সকল সেক্টরে মানবিক জীবনযাপন উপযোগী ন্যূনতম মজুরি,বোনাস দিতে হবে। রেশনিং, বাসস্থান ও শিক্ষা-স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দিতে হবে। পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করাসহ সংবিধান এবং আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শ্রমআইন-বিধি সংশোধন ও কার্যকর করতে হবে, শ্রমিকদের জন্য স্থায়ী রেশন ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments