খাদেমুল ইসলাম : নানাবিধ সমস্যার আবর্তে হাবুডুবু খাচ্ছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে সেবা বঞ্চিত হয়ে আসছে এ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। হাসপাতালে একটি মাত্র এ্যাম্বুলেন্স, নেই তার কোন চালক। নাইট গার্ড চালান সেই এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি ঐ নাইট গার্ডের রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স। এখানকার ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী, রোগীদের জন্য নেই কোন বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা। পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন, যা পান করে পেটের পীড়া, চর্মরোগ রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী, রোগীরা। জানা গেছে ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐ হাসপাতালকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বর্ধিত ভবন গত ১৫ অক্টোবর ২০১১ উদ্বোধন করেছেন তদানিন্তন স্থানীয় সাংসদ তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আলহাজ মোঃ আবুল কালাম আজাদ। এতে ডাক্তারের প্রয়োজন ২৯ জন, বর্তমানে ডাক্তার আছে মাত্র ১২ জন, নার্স ২৫ জন। এখানে নেই কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। ইএনটি, অর্থপেডিক, সার্জারী, গাইনী, এনেসথেসিয়া, মেডিসিন সহ অনেক ডাক্তার না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। ৫জন পরিচ্ছন্নতা কর্র্মীর মধ্যে আছে ১ জন, এমএলএসএস ৪ জনের মধ্যে আছে ১ জন, ওয়ার্ডবয় নেই একজনও, বন্ধ এক্সরে মেশিন, নেই অফিস সহকারি। এ উপজেলার প্রায় ৩ লাখ জনগণ ছাড়াও পাশর্^বর্তী ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ, রাজিবপুর, রৌমারী, ফুলছড়ি সহ অন্যান্য স্থানের রোগীরাও এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। ক্রমেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে এই হাসপাতালটি। এ দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিদান অত্যাবশ্যক।