মোহাম্মদ আলী:
ঝোঁপ জঙ্গলে ছেয়ে গেছে চারিপাশ। ঘরের চালের টিন ফুটু হয়ে মরিচা ধরেছে অনেক আগেই। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে বিছানাপত্র ভিজে যায়। দরজা জানলাগুলোও ভাঙ্গা, দেওয়ালে নুনায় ধরায় ভেঙ্গে পড়ছে আস্তরণ। বর্ষায় ঘরের বাইরে থাকে হাটুপানি। পানি থাকে ঘরেও। এরই মধ্যে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে বসবাস করছেন, পাথালিয়ায় সরকারি কর্মচারী কলোনীবাসী। ১৯৮০ সালে জামালপুর পৌর এলাকার পাথালিয়ায় কয়েক একর জায়গাজুড়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সরকারি কর্মচারী কলোনীটি নির্মাণ করেন।
জানাযায় ২০টি ঘর বিশিষ্ট এ কলোনীর প্রায় ৪০ বছর অতিক্রান্ত হলেও তেমন কোনো মেরামত বা সংস্কার চোখে পড়েনি কলোনীবাসীর। তাদের মতে, বেশ কয়েক বছর আগেই থেকেই ঘরগুলোতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। ঘরের চালের টিন কোনোটাতে ফুটু হয়ে কোনোটাতে মরিচা ধরে নষ্ট হয়েগেছে। বৃষ্টি হলেই ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে বিছানা ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যায়। বেশিরভাগ ঘরের দরজা জানালা ভাঙ্গা। দেওয়ালে নুুনায় ধরে ভেঙ্গে পড়ছে আস্তরণ। বর্ষা মৌসুমে ঘরে বাইরে রাস্তায় থাকে হাটু পানি। পানি থাকে ঘরেও। এমতবস্থায় বসবাসকারীদের দুর্ভোগ পৌছেছে চরমে।
এ কলোনীতে বসবাসকারী জামালপুর ডিসি অফিসের কর্মচারী হাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে গুলোতে বসবাস করা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বেশি অসুবিধা হয়। চারপাশে ঝোঁপ জঙ্গল থাকায় সাপ ও পোকামকড় ঢুকে ঘরে। আমাদের সমস্যাগুলো কলোনীর কেয়ার টেকারের মাধ্যমে বহুবার জানিয়েছি কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।
জজকোর্টের কর্মচারী জালাল বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিজের টাকায় ঘরের চালে পলিথিন ও পুডিন লাগিয়েছি, দেওয়ালে আস্তর করেছি, রংচুন করেছি। তারপরেও আশপাশের তুলনায় কলোনী নিচু হওয়ায় বর্ষায় চার পাশে পানি এসে জমে এখানে। ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজ ও আমাদের অফিস আদালতে যেতে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
ডিএলও অফিসের একজন কর্মচারী বলেন, কয়েক বছর আগে শুনেছি কলোনীটিকে বসবাসের অনুপযোগী বা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এটি ভেঙ্গে নাকি ফ্ল্যাটবাড়ি করা হবে। কিন্তু এখনও তার বাস্তবায়ণ দেখছি না।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মন্তব্য জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী, মিজানুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।