আ. জা. ডেক্স:
সরকারের বাস্তবায়নাধীন অনুমোদিত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ৮৫ শতাংশের বেশি ব্যয় করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি অর্থ বিভাগের (বাজেট অনুবিভাগ-১) যুগ্ম-সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি হিসাব মহানিয়ন্ত্রককে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রত্যেক খাতের বিপরীতে ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দ হিসেবে উল্লিখিত অর্থের অতিরিক্ত কোনো ব্যয় বিল গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করছি। তবে এ কর্তৃত্ব জারির পর যেসকল খাতে অর্থ বিভাগ অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদান করবে, সেসকল অতিরিক্ত বরাদ্দ এ সংশোধিত কর্তৃত্বের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। যেসব খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল মঞ্জুরির অতিরিক্ত অর্থ সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে করা হবে সেসব খাতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সম্পূরক-অতিরিক্ত আর্থিক বিবৃতির মাধ্যমে যথাসময়ে নিয়মিত করা হবে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত কর্তৃত্ব অনুযায়ী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়নাধীন অনুমোদিত প্রকল্পের জিওবি অংশের মোট বরাদ্দের ১৫ শতাংশ সংরক্ষিত রেখে অনূর্ধ্ব ‘৮৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা যাবে এবং এই ৮৫ শতাংশ অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ এবং প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বিভাগের কোনো সম্মতির প্রয়োজন হবে না। এ অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাড় হয়েছে বলে গণ্য হবে। প্রকল্প পরিচালকরা এ অর্থ সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সংশোধিত অননুমোদিত এবং অননুমোদিত প্রকল্পসহ স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অর্থ অবমুক্তি ও ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৮ এর বিদ্যমান পদ্ধতি অপরিবর্তিত থাকবে।
চিঠিতে উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান উল্লেখ করেন, অবগতি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দের অনুলিপি অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ), বাংলাদেশ রেলওয়ে, কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, সকল মন্ত্রণালয় বিভাগ এবং অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকল উপসচিব, সিনিয়র সহকারী সচিবের কাছে পাঠানো হলো। সংশোধিত বরাদ্দের বিস্তারিত অর্থনৈতিক কোডভিত্তিক বিভাজন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগের সিনিয়র সচিব, সচিব এবং প্রধান হিসাব রক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর জন্য অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট যুগ্মসচিব, উপসচিব, সিনিয়র সহকারী সচিবদের অনুরোধ করা হলো। এই কর্তৃত্ব জারির পর যেসকল খাতে অর্থ বিভাগের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হবে সেসকল অতিরিক্ত বরাদ্দ এ সংশোধিত কর্তৃত্বের অংশ হিসেবে গণ্য হবে এবং পরবর্তীতে সম্পূরক, অতিরিক্ত আর্থিক বিবৃতির মাধ্যমে যথাসময়ে নিয়মিত করা হবে। এতে আরও বলা হয়, যেসব ক্ষেত্রে মূল মঞ্জুরির পরিমাণ সংশোধিত বরাদ্দ হতে বেশি এবং ইতোমধ্যে সংশোধিত বরাদ্দের তুলনায় বেশি অর্থ ছাড় কিংবা ব্যবহার হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে সংশোধিত বরাদ্দের তুলনায় যে পরিমাণ অর্থ বেশি ছাড় কিংবা ব্যবহার হয়েছে সে পরিমাণ অর্থ অবিলম্বে সমর্পণ বা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে। এ ধরনের সমর্পণ-জমাকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট পত্রাদির দু’টি প্রতিলিপি জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়-বিভাগকে অবশ্যই অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়-বিভাগ ব্যতীত কোনো অধিদপ্তর, পরিদপ্তর কিংবা অধঃস্তন অফিস কর্তৃক অর্থ প্রত্যর্পণ সম্পর্কিত পাঠানো পত্র অর্থ বিভাগ কর্তৃক বিবেচিত হবে না।