মোহাম্মদ আলী:
“জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান”, “ যারা মুজিবের ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা আলবদর রাজাকার”, “শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার”, “যত দিন রবে দেশে ততদিন আওয়ামী লীগের বাংলাদেশ”, “ফরিদুল হক খান দুলাল এমপিকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ”। উপরের এই শ্লোগানগুলো কোনো কাগজে নয়, নয় কোনো দেওয়ালে বা পোস্টার, নিজের শরীর কেটে তাতে এসিড ঢেলে ক্ষত করে তা শুকিয়ে গায়ে লিখে রেখেছেন, একজন মুজিব পাগল, আওয়ামী প্রেমিক, শেখ হাসিনার ভক্ত, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এর গুণগ্রাহী। তিনি হচ্ছেন জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারি ইউনিয়নের বেনুয়ারচর গ্রামের মরহুম আঃ মমিনের ছেলে দিন মজুর ময়েছেন (২৯)। জানাযায় , তার বাপ দাদা পূর্বপুরুষ আওয়ামী লীগ করতেন। তার জেঠা এখনও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাদের মুখেই তিনি বঙ্গবন্ধুর বীরত্বের কথা বড়ত্বের কথা শুনেছেন। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়তে পেরে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জেনেছেন। সেই থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুকে ও আওয়ামী লীগকে ভালবাসেন। বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগকে ধারণ করে রেখেছেন অন্তরে। দারিদ্রতার কারণে ২০১২ সালে গিয়েছিলেন গাজীপুরে। সেখানে তিনি কাজ করতেন একটি হোটেলে।
এরপর চলে যান ঢাকায়। সেখানেই তিনি দিন মজুরী করেছেন। গাজীপুর ও ঢাকাসহ সারা দেশের যে উন্নয়ন তিনি দেখেছেন বিশেষ করে পদ্মাসেতু নির্মাণ তাতে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত হয়ে যান। ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেই দেখেন স্থানীয় এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল যে উন্নয়ন করেছেন তা তার ভাবনার অতীত। আগে তাকে তিনটি নদী পার হয়ে উপজেলা সদরে যেতে হতো। এখন বাড়ী থেকে গাড়ীতে চড়ে যাওয়া যায়। আবার কাজ শেষে গাড়ীতে চড়ে বাড়ি ফিরা যায়। চরাঞ্চলের মানুষদের এমন নানাবিধ সুযোগ সুবিধা করে দেওয়ায় কারণে তিনি এমপি’র একজন গুণগ্রাহীতে পরিণত হয়েছেন। এসব বিশেষ ব্যক্তিদের বিশেষ কর্মকান্ডের মুগ্ধ হয়ে তিনি তাদের প্রতি ভালবাসার অপ্রকাশিত আবেগকে তিনি নিজের দেহের খোদাই করে ধরে রেখেছেন। এমন একটি কঠিণ কাজ তিনি কিভাবে করলেন ? তার স্ত্রী, এক সন্তানের জননী সাজেদার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার স্বামী কখনও কোথায় কিভাবে লিখেছেন তা তিনি প্রথমে জানতেন না। একবার স্বামী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন তিনি জানতে পারেন যে, তার স্বামী স্টীলের পাত দিয়ে প্রথমে শরীরের কেটে কেটে লিখে তারপর রক্ত মুছে ফেলে, সেই কাটা স্থানগুলোতে ব্যাটারীর এসিড ঢেলে দিয়ে ক্ষত করে পরে তিনি অসুধ খেয়ে শুকিয়েছেন। তার ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি. চরপুটিমারি ইউপি চেয়ারম্যান. আলহাজ¦ সামছুজ্জামান সুরুজ মাষ্টার জানান, ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন কোনো ঘটনা শুনিও নাই দেখিও নাই। রাজনীতির বাইরে থেকেও একটি রাজনৈতিক দল ও তার নেতৃবৃন্দেও প্রতি ভালবাসার এমন বহিঃপ্রকাশ বর্তমান যুগে বিরল। তার কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার আছে।