আ.জা. ডেক্স:
গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সারাদেশে আরও ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ হাজার ৬৬৯ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও আট হাজার ৪৮৯ জন। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ জনে। গত সাতদিনে দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন মোট ১ হাজার ৪৮০ জন। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত এই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিগত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে মৃত্যু বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। এই সাতদিনের মধ্যে গত শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিনই ২শ’ এর উপরে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১১ জুলাই করোনা মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যু হয় যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত সাতদিনে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪২৯ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছে ৮৩ হাজার ৯৬ জন। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ২৪ জন, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৫ ও নারী ৭৯ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৬১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪১ জন এবং বাড়িতে দুইজন মারা যান। গতকাল শনিবার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬২৭টি ল্যাবরেটরিতে ৩০ হাজার ১৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৯ হাজার ১১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭২ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৫ দশমিক শূন্য ১৪ শতাংশ। এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আট হাজার ৮২০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা নয় লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২০৪ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে দশোর্ধ্ব দুইজন, বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫১ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩৫ জন, আশির্ধ্ব ১৫ জন এবং নব্বইয়ের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন। বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৮২ জন, চট্টগ্রামে ৩২ জন, রাজশাহীতে ২০ জন, খুলনায় ৪৯ জন, বরিশালে পাঁচজন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে ১০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজন রয়েছেন। বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।