চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রারকে মারধর করার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জামালপুরে কর্মবিরত পালন করেছেন সাব-রেজিস্ট্রাররা। এতে জমি রেজিস্ট্রেতে নেমে এসেছে জনদুর্ভোগ।
বুধবার শিবগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে মারধরের প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সারাদেশের ন্যায় সকাল থেকে জামালপুরে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রারকে মারধরের ঘটনায় জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে এ অঞ্চলের ৭টি উপজেলার জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা জমি রেজিস্ট্রি করতে পারছে না। তবে সাব-রেজিস্ট্রারকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রেজিস্ট্র কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
অফিস চত্বরে কথা হয় ডা.আবু হাসনাত রাফির সাথে। তিনি জানান, ঢাকা মিরপুর এলাকা থেকে এসেছি জমি রেজিস্ট্রি দিতে। রেজিস্ট্রি ফি ব্যাংকে পে-অর্ডার করা হয়েছে। দলিল সম্পাদন কাজ শেষ হয়েছে। রেজিস্ট্রি দিতে সাব-রেজিস্টারের সামনে যাব এমন সময় রেজিস্ট্রি বন্ধ করে দেয়া হয়। খুব সমস্যায় পড়ে গেলাম। এখন আবার কাজ ফেলে আসতে হবে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতিভাঙ্গা এলাকার রিয়াজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জামালপুর শহরে ছেলে একটু জমি কিনছে। রেজিস্ট্রি নিতে বাড়ি থেকে এসে শুনি রেজিস্ট্রি হবে না। জমিওয়ালাকে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আবার আসতে হবে।
ঢাকা থেকে জমি রেজিস্ট্রি দিতে সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস এসেছেন আবুল কালাম আজাদ। তার সাথে হলে তিনি জানান, জামালপুরে একটু জমি ছিল। টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করেছি। শীতের সকালে ঠান্ডার মধ্যে ঢাকা থেকে জামালপুরে এসে শুনি রেজিস্ট্রি কাজ বন্ধ। টাকারও প্রয়োজন।
জামালপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার আশীষ কুমার সরকার জানান, শিবগঞ্জ উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রারকে হামলা ও মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। রেজিস্ট্রার অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
জেলা রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম জানান, সাব-রেজিস্ট্রারকে মারধরের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আমাদের এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচি অনির্দষ্টকালের। অ্যাসোসিয়েশনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া আমাদের এ কর্মসূচি চলবে।