হাইকোর্টের আদেশের ফলে ট্রেনের ছাদে যাত্রী উঠা বন্ধ করতে সক্ষম হবো বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নতুন সজ্জিত অডিটোরিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
রেলমন্ত্রী বলেন, মানুষ রেলে চড়া ভুলে গিয়েছিল, সেটিকে আমরা যুগোপযোগী করেছি। রেলের সব কিছু ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। পদ্মাসেতু উদ্বোধন করা হয়েছে, সেখানেও রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু করা হচ্ছে।
রেলের অনিয়ম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা তো ব্যবস্থা নিয়েছি। টিকেট যার ভ্রমণ তার। এটা এখনও সম্পূর্ণ রূপে বাস্তবায়ন করতে পারছি না। টিকেট যার ভ্রমণ তার এটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে সমস্ত অনিয়ম বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রেলের অনিয়ম দূর করতে কালোবাজারি মুক্ত করার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। কালোবাজারিরা যাতে কালোবাজির না করতে পারে সেই চেষ্টা করছি।
রেলের ছাদে যাত্রী উঠা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ফলে ছাদে যাত্রী উঠা বন্ধ করতে সক্ষম হবো বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, এক সময় ৩ হাজার কিলোমিটার রেলপথ ছিল। সেটি কমে ২ হাজার ৫শ কিলোমিটারে নেমে আসে। সমস্ত রেলকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক রেল মন্ত্রণালয় গঠন করে দেন, এরপর নতুন যুগের সূচনার সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, আশা করছি আগামী জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলকে সংযুক্ত করতে পারলে ফরিদপুর, রাজবাড়ি দিয়ে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল সংযোগ পাবে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বেসামরিক ও বিমান পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২১ জুলাই ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এরপর থেকে ট্রেনের ছাদে কোনো যাত্রী পরিবহন করলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।