আ.জা. স্পোর্টস:
একটি টুইট ভারতের কোটি ভক্তের সঙ্গে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয় ক্রিকেট বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে। করোনাভাইরাসের থাবা নতুন করে ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়ায় ভালো নেই বিশ্ব। এই সময়ই ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার জানালেন, তিনি করোনা পজিটিভ। ভক্তদের অভয় দিয়েছিলেন, কিন্তু শুক্রবার করা তার আরেকটি টুইটে আবারও জন্মেছে দুশ্চিন্তার মেঘ। করোনা আক্রান্তের এক সপ্তাহ পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শচীন। টুইটে জানিয়েছেন, বাড়তি সাবধানতার কারণেই হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাকে। গত ২৭ মার্চ আক্রান্তের খবর দিয়ে শচীন জানিয়েছিলেন, তার মৃদু উপসর্গ আছে, তাই বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হলো। শুক্রবার করা টুইটে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণ হিসেবে শচীন ‘চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বাড়তি সাবধনতার’ কথা উল্লেখ করেছেন। ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের মালিকের টুইট, ‘শুভকামনা ও প্রার্থনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়তি সাবধানতার কারণে আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যেই আমি বাড়ি ফিরতে পারবো। আপনারা নিজেদের যত্ন নিন এবং নিরাপদে থাকুন।’ ২০১১ সালে আজদের দিনেই ভারত জিতেছিল দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। সেই দলের গর্বিত সদস্য ছিলেন শচীন। স্মরণীয় দিনটির কথা ভোলেননি ভারতীয় কিংবদন্তি, ‘আমাদের বিশ্বকাপ জেতার দশম বছর পূর্তিতে সব ভারতীয় ও আমার সতীর্থদের শুভকামনা।’ দিনকয়েক আগেই শচীন খেলেছেন সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে হওয়া রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে। প্রতিযোগিতায় খেলার সময় প্রতিদিনই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। তখন কোনও খারাপ খবর না এলেও প্রাণঘাতী ভাইরাস ঠিকই থাবা বসিয়েছে সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের শরীরে। ২৭ মার্চ টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছিলেন, ‘কোভিডকে দূরে সরিয়ে রাখতে সব ধরনের চেষ্টা করেছি এবং নিজের পরীক্ষা করিয়েছি। যাই হোক, মৃদু উপসর্গের পর আজ আমি করোনা পজিটিভ হয়েছি। বাড়ির অন্য সবার পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।’ সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে ভারত লেজেন্ডসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শচীন। দলটির শিরোপা জয়ের পথে ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন তিনি। ৭ ম্যাচে করেছেন ২২৩ রান, সর্বোচ্চ ছিল ৬৫ রানের ইনিংস। এই প্রতিযোগিতায় ভারত ছাড়াও অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটাররা। খেলেছেন ব্রায়ান লারা, বীরেন্দর শেবাগ, কেভিন পিটারসেন, সনাথ জয়াসুরিয়া, তিলকরতেœ দিলশানের মতো সাবেকরা।