আনসার বাহিনীর অপ্রত্যাশিত হামলা নিয়ে যা বললেন তারকারা

সচিবালয় ঘেরাওকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার রাতে ঘটে যাওয়া আনসার বাহিনীর অপ্রত্যাশিত হামলা নিয়ে সরব রয়েছে দেশের শোবিজ অঙ্গন। সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো আনসারদের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন তারা। এক ফেসবুক পোস্টে গীতিকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ লিখেছেন, ‘দেশের এই ভয়াবহ দুর্যোগেও পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি ফিরে আসছে কখনও ডাকাত হয়ে, কখনও বা আনসার হয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর সময় নাই। সরকারকে এদের শক্তভাবে এখনি রুখতে হবে। এরা ভুলে যাচ্ছে প্রয়োজনে আগস্ট ৫ এর মত এই ঘেরাও কর্মসূচিকে ছাত্র জনতাই আবার ঘেরাও করবে যে কোনো মুহূর্তে। এবার আর পালাবার পথ পাবে না।’

আনসার বাহিনীর অপ্রত্যাশিত হামলায় নিন্দা জানালেন নির্মাতা আশফাক নিপুনও। ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘জাতীয় দুর্যোগে মানুষের পাশে না থেকে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দাবি আদায় করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার। এদের প্রতিহত করুন।’

সমন্বয়কসহ উপদেষ্টাগণের উপর আনসার বাহিনীর অপ্রত্যাশিত হামলায় গর্জে উঠেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘হোয়াটস আপ, আনসারস? দেশের এই অবস্থায় মানুষ একে অন্যের পাশে দাঁড়াচ্ছে, আর এরা অন্য কারও হয়ে খেলছে?’ 

দাবি মেনে নেওয়ার পর এমন অতর্কিত হামলা মেনে নেওয়া যায়না বলেও উল্লেখ করেন এই নির্মাতা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘দাবি মেনে নেওয়ার পরও এই নৈরাজ্যটা এখন আর স্রেফ নেওয়া যাচ্ছে না।পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি কতো রূপে যে ফিরে আসার চেষ্টা করল! কখনও ডাকাত হয়ে, কখনও বা আনসার হয়ে নবান্নের এই দেশে। সময় এসেছে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার।’

প্রসঙ্গত, রোববার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটকে রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে; কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।

প্রথমদিকে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।