দেশের সম্ভাবনাময় পণ্যগুলো বিদেশে রপ্তানি ও রপ্তানি পণ্যের নিত্য নতুন বাজার সৃষ্টিতে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।
রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে এফবিসিসিআই’র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এবং বৈদেশিক প্রতিনিধি দল বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, দেশের সম্ভাবনাময় পণ্যগুলো বিশ্ববাজারে তুলে ধরতে বিদেশের বাণিজ্য মেলাগুলোতে দেশের প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে। তারা যাতে পণ্য প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা ও কাজ হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীদের এ নেতা।
দেশে হস্তশিল্পের বিপ্লব ফিরিয়ে আনা ও পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ইউরোপসহ পার্শ্ববর্তী দেশে রোড-শো করার পরামর্শ দেন মাহবুবুল আলম।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ আলী হোসেন শিশির বলেন, সারাবিশ্বে চলমান অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। দেশী পণ্য বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে ও পণ্যকে বহুমুখী পণ্য হিসেবে রপ্তানি করতে এই কমিটি কাজ করবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছোট দেশ হলেও এর সম্ভাবনা অনেক। দেশের ৩০ থেকে ৪০ ভাগই তরুণ। শুধু তৈরি পোশাক খাতে সীমাবদ্ধ না থেকে পণ্য বৈচিত্র্য করণ ও নতুন বাজার সৃষ্টিতে কাজ করবো আমরা। তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিডার আরও সহযোগিতা দরকার এক্ষেত্রে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বিদেশে মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশীয় পণ্য প্রদর্শন ও বিদেশে পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে এফবিসিসিআই। তবে দেশে কি কি সম্ভাবনাময় পণ্য রয়েছে সে ব্যাপারে দেশের মানুষকেই আগে অবগত ও সচেতন হওয়ার আহ্বান তার।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে এফবিসিসিআইর অধীনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন খাত ভিত্তিক মেলা আয়োজন ও সেখানে অংশগ্রহণের আগ্রহের কথা জানান বক্তারা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. মুনির হোসেন, পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, ইসহাকুল ইসলাম সুইট, আমির হোসেন নূরানী, মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারেম্যান ও সদস্যরা।