জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগপন্থী শিল্পীদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’। যেখানে ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরিকল্পনা-পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হতো।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে আসে সেই গ্রুপের কর্মকাণ্ড। যার পরেই সমালোচনার মুখে পড়েন সেই গ্রুপের সদস্য অভিনয়শিল্পীরা।
এদিকে সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সেই গ্রুপের সদস্য ছিলেন চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা। যা দেখেই এই অভিনেত্রী। তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ জানিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে আইরিন লেখেন, ‘কেন আমাকে নিয়ে এই মিথ্যাচার? অতি সম্প্রতি নাগরিক টিভি নামক ইউটিউব চ্যানেলে কে বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি ভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে আমাকে নিয়ে। আমি নাকি বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের কুখ্যাত আলো আসবেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম এবং তাদের পক্ষে কাজ করেছি। অথচ গোটা আন্দোলনের সময়ে নানাভাবে আমি আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার ছিলাম নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে।’

আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আইরিন আরও লেখেন, ‘আমি তো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই কখনো সম্পৃক্ত নই। ছিলামও না। অতএব, যে বা যারাই আমাকে নিয়ে এমন ভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
যারা মিথ্যা ছড়াচ্ছে, তাদের ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন এই নায়িকা। তার কথায়, ‘আলো আসবেই গ্রুপে আমার কোনো সম্পৃক্ততার সুস্পষ্ট প্রমাণ যদি উপস্থাপন করতে না পারে, তাহলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের প্রকাশ্যে আমার কাছে নিঃস্বার্থ ক্ষমা চাইতে হবে এবং দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় আমি নাগরিক টিভি নামক ইউটিউব চ্যানেলসহ সংশ্লিষ্ট সবার নামে আমার সুনাম নষ্টের এই অপপ্রচেষ্টার দায়ে মানহানি মামলা দায়ের করব।’
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর অভিনয়ে অনিয়মিত থাকার পর গত বছর নির্মাতা সাইফ চন্দন পরিচালিত ‘দুনিয়া’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় প্রত্যাবর্তন করেন আইরিন সুলতানা। সর্বশেষ তিনি নির্মাতা ইভান মনোয়ারের ‘ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প—কফিগার্ল’ নামের একটি শর্টফিল্মে কাজ করেছেন।