ভারতের আসাম রাজ্যের সংসদে বাতিল করা হয়েছে জুমার নামাজের বিরতি। মুসলিম সাংসদরা যেন নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য যুগ যুগ ধরে আসামে জুমার নামাজের জন্য দুই ঘণ্টা সংসদের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হত।
তবে আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সংসদের রুলস কমিটি একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। এতে বলা হয় শুক্রবারের অধিবেশনও অন্যদিনের মতো হবে।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে রুলস কমিটি বলেছে, “সৃষ্টির পর থেকে আসামের আইনসভার কার্যক্রম শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুই ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হতো। এরপর মধ্যাহ্নভোজ ও মুসলিম সাংসদরা ফিরে আসার পর অধিবেশন আবারও শুরু হতো। অন্যদিনে ধর্মীয় কোনো কারণে অধিবেশন স্থগিত ছাড়াই সংসদের সব কার্যক্রম চলে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “মাননীয় স্পিকার শ্রী বিশ্বজিৎ দাইমারী এ বিষয়টি সম্পর্কে নোট নিয়েছেন এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার আলোকে প্রস্তাব দিয়েছেন অন্যদিনের মতো শুক্রবারও মুসলিম সাংসদদের নামাজের বিরতি না দিয়ে আসামের আইনসভার কার্যক্রম চলবে।”সংসদে জুমার নামাজের বিরতি বাতিল করার পর এ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এতে তিনি লিখেছেন, “দুই ঘণ্টার জুমার নামাজের বিরতি বাদ দিয়ে আসাম আইনসভা নিজেদের কর্মকাণ্ডের উপর গুরুত্ব দিয়েছে এবং ঔপনিবেশিক আমলের আরেকটি নিদর্শন ঝেরে ফেলেছে। সংসদে নামাজের সময় দেওয়ার বিষয়টি ১৯৩৭ সালে এনেছিলেন মুসলিম লীগ নেতা সৈয়দ সাদুল্লা।”
আসামের বিরোধী দল এমন সিদ্ধান্তের বিরোধীতা জানিয়েছে। তারা বলেছে এটি ‘মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত’ হানবে।
আসামের একাধিক মুসলিম সাংসদ বলেছেন, সংসদের এমন সিদ্ধান্তে তারা খুশি হননি। এটি ধর্মীয় সহনশীলতার পরিবেশ নষ্ট করবে।