আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, আমি–ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার। এফডিসিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
সুজন সম্পাদক বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেকেই পালিয়েছেন। এখন দলটির নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে সে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সবাই অপরাধে জড়িত ছিলেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিভিন্ন অজুহাতে দলীয়করণ করে সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে, আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতি উৎসাহী হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। তাই নির্বাচনী অপরাধে অভিযুক্ত সবার বিচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।
বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল রুটিন সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ থেকে ১৬ বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস পেতে পারে।
সুজন সম্পাদক বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে রাজধানীর নয়াপল্টনে হামলা চালিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র তৈরি করতে পারেনি।
বদিউল আলম মজুমদার অভিযোগ করেন, সেই সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সরকারের রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কথিত দলকে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দিয়েছে।