ইউক্রেন নিয়ে পোপের মন্তব্যের সমালোচনায় জার্মানি

ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন খ্রিস্টান ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান ধর্ম গুরু পোপ ফ্রান্সিস। তাকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। পোপ ফ্রান্সিস সুইস ব্রডকাস্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউক্রেনের উচিত সাহস করে সাদা পতাকা দেখানো এবং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসে যুদ্ধ শেষ করা।

পোপের এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‌‌‘‘প্রেসিডেন্ট পুতিন আলোচনায় আগ্রহী। পোপ যেরকম বলেছেন, সেই পথেই হাঁটা উচিত।’’

কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পোপের এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একদল বাঁচতে চায়, অন্যদল ধ্বংস করতে চায়। চার্চ কেন এমন দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে?

ইউক্রেন কিয়েভে ভ্যাটিকানের দূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠিয়ে জানিয়েছে, পোপের মন্তব্যে তারা হতাশ।

• পোপ কী বলেছেন?

ওই সাক্ষাৎকারে পোপ বলেছেন, ‘‘যারা শক্তিশালী, তারা পুরো পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে, মানুষের কথা ভেবে সাদা পতাকা দেখানোর সাহস রাখে এবং সমঝোতা করার চেষ্টা করে।’’ তিনি বলেছেন, যখন সবকিছু ঠিক যাচ্ছে না, যখন হেরে যাওযার সম্ভাবনা থাকছে, তখন আলোচনায় বসা উচিত।

পরে ভ্যাটিক্যানের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পোপ কখনই বলেননি ইউক্রেন আঅত্মসমর্পণ করুক। সাদা পতাকা কথাটা প্রথমে যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তিনিই ব্যবহার করেন। পোপ আসলে আলোচনায় বসে সহিংসতা থামানোর কথা বলেছেন।

• জার্মানির বক্তব্য

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছেন, তিনি পোপের সঙ্গে একমত নন। সরকারি মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, সত্যিটা হলো, ইউক্রেন আক্রমণকারীদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাচ্ছে। রাশিয়াই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করে।

তিনি বলেছেন, সরকার মনে করে, আত্মরক্ষার অধিকার সব দেশের আছে। তাই জার্মানি ও বহু দেশ ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, কিয়েভ যদি শক্তিপ্রদর্শন না করে তাহলে শান্তি আসবে না। আমাদের ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং তারা যাতে নিজেদের রক্ষা করতে পারে, তার জন্য যা করা দরকার সব করতে হবে।