গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হওয়ার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এমন অবস্থায় যেকোনও সময় ইরানের দিক থেকে হামলার আশঙ্কা করছে ইসরায়েল।
এমনকি দিন দুয়েক আগে ইরানের হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের ভেতরে বড় একটি অংশজুড়ে জিপিএস সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েল তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার করেছে।
ইরানের সাথে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই এবার লোববনে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল। গভীর রাতে চালানো এই হামলায় ইরানপন্থি শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রশিক্ষণ শিবিরকে লক্ষ্যবস্তু করেছে তারা।
রোববার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল রোববার ভোরে পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির দুটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। লেবাননে একটি ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলার ঘটনা ঘটল।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিরিয়ার সীমান্তবর্তী জনতা গ্রামে সশস্ত্র গ্রুপ হিজবুল্লাহর একটি প্রশিক্ষণ শিবিরকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় ইসরায়েল। এছাড়া পূর্বাঞ্চলীয় শহর বালবেকের কাছে অবস্থিত সাফরি শহরও হামলার লক্ষ্য ছিল বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবেই সীমান্তে গুলিবিনিময় করছে। হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর এটিই ইসরায়েল-লেবানিজ সীমান্তে সবচেয়ে খারাপ সহিংসতার ঘটনা।
হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের এই সংঘাত আঞ্চলিক উত্তেজনাও ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ শনিবার ইসরায়েলের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে।
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হারমেজ ৯০০ টাইপের এই ড্রোনটি শনিবার সন্ধ্যায় লেবাননের ভূখণ্ডে ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে।’