ইসরায়েল-অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পর্যবেক্ষণ ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স। ইরানপন্থী ইরাকের সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সের যোদ্ধারা এই হামলা চালানোর দাবি করেছে বলে সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, রোববার ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে ইরানপন্থী শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স।
সম্প্রতি ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স।
এদিকে, পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরাক থেকে মনুষ্যবিহীন ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। পরে সিরিয়ার আকাশসীমা পেরিয়ে ইসরায়েলি সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ইসরায়েলি বাহিনী ওই ড্রোনগুলোকে বাধা দিয়েছে। এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি.
ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স বলেছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের জর্ডান উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি অবস্থানে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। একাধিক ড্রোনের আঘাতে ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এই হামলার বিষয়ে আরও কোনও বিস্তারিত তথ্য দেয়নি ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স।
গত সপ্তাহে লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা হাজার হাজার পেজার ও ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় লেবাননে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; যাদের মধ্যে হিজবুল্লাহর অন্তত ১৬ সদস্য রয়েছেন। এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে দায়ী করছে হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির যোগাযোগের যন্ত্রে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।