ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর

সীমান্ত-লাগোয়া ইসরায়েলের কিরিয়াত শোমোনা শহরে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলার জবাবে বুধবার ভোরের দিকে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

তবে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। এর আগে, মঙ্গলবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের হাব্বারিয়াহ গ্রামে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

লেবাননের দুটি নিরাপত্তা সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় হাব্বারিয়াহ গ্রামে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীটির জরুরি ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কেন্দ্র লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ওই বিমান হামলা চালিয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে শোমোনা শহরে হিজবুল্লাহর হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এমনকি সেখানে কোনও ধরনের হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না তাও জানা যায়নি।

এর আগে, মঙ্গলবার উত্তর লেবাননের দুটি শহরের কাছে একাধিক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। হামলায় হিজবুল্লাহর অন্তত তিন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। লেবাননে হামলা চালানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে শত শত মানুষকে হত্যা করে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাস। একই সঙ্গে আরও দুই শতাধিক ইসরায়েলি ও বিদেশিকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে তারা। ওই দিনই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় পুরোমাত্রার যুদ্ধ শুরু করে।

গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলা নির্বিচার হামলায় ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর কয়েক দিন পর ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা শুরু করে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। পাল্টাপাল্টি হামলায় ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর অনেক সদস্যের প্রাণহানি ঘটেছে। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তের উভয় প্রান্তের লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা।