ইসলামপুরে অসময়ে যমুনার ভাঙনে দিশেহারা নদী পাড়ের শতাধিক পরিবার

লিয়াকত হোসাইন লায়ন : জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনা নদীর শাখা কাটাখালি নদীতে হঠাৎ তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের ডেবরাই প্যাচ কাটাখালি গ্রামের গত কয়েকদিনে ঘরবাড়ি,ফসলি জমি যমুনার গর্ভে বিলীন হওয়ায় কৃষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
অসময়ে যমুনা ৩ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙ্গনে আতঙ্কে দিন কাটছে পাড়ের মানুষদের। ভাঙ্গনে ঘর বাড়ি,ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের শতাধিক পরিবার। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা,জীবিকার অবলম্বন ফসলি জমি। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী এলাকাবাসীর।
স্থানীয়া বলেন, নদীর পানি কমে গেলেও ভাঙনের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে আমাদের। শীত আসার আগমুহূর্তে এই অসময়ের ভাঙনে দেখা দিয়েছে তীব্র কষ্ট। চিনাডুলী গ্রামের কৃষক আবদুল মালেক বলেন,ভাঙনে আমার তিন বিঘা জমি আর বাড়ির অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, সবই নদীতে মিলিয়ে যাবে।
শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,প্রতি বছরই ভাঙনের ভয় নিয়ে থাকতে হয়। এবার তো হঠাৎ করে অসময়ে নদী ভাঙতে শুরু করেছে আমরা চাই দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সাকিব বলেন, হঠাৎ করেই এই নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ফসলি জমি ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে। প্রশাসনকে দ্রুত সময়ের মধ্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, ভাঙনের খবর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। আমরা দ্রুত ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জামালপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন,ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন,বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।