ইসলামপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের ইসলামপুর যমুনা নদীর দূর্গম চরাঞ্চরে ক্যাপসিকাম চাষে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য তরুন কৃষক হৃদয় হাসানকে ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছেন। গতকাল উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে হলরুমে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মাননা স্মারক প্রদানসহ আরো বড় পরিসরে চাষের জন্য অনুপ্রানীত করে প্রশাসন থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।
জানাগেছে, উপজেলায় সাপধরী ইউনিয়নের যমুনার চর চেঙ্গানিয়া এলাকার ৪০ শতাংশ জমিতে মালর্চিং পদ্ধতিতে কৃষক মো: আবু সাঈদ ও তার পুত্র হৃদয় হাসান বেকারত্ব দূর করতে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। ফলন ও বাম্পার হয়। তবে জেলায় ক্যাপসিকামের চাহিদা না থাকায় বিক্রি করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন এই কৃষক।
হৃদয় হাসান বলেন, ইউটিউব দেখে অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভের আশায় ৪০ শতাংশ জমিতে ৫ হাজার ক্যাপসিকামের চারা রুপন করি। এতে প্রায় খরচ হয় এক লাখ টাকা। জামালপুরে ক্যাপসিকাম চাহিদা না থাকায় রাজধানীতে পরিবহণ খরচ দ্বিগুণ হওয়ায় চাষ করে হতাশায় পরেন। হৃদয় হাসানের বাবা আবু সাঈদ মিয়া ক্যাপসিকাম বিক্রি না হওয়ায় কান্নাজড়িত সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার হয়। ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খানের নজরে আসে। এতেই ভাগ্য ফিরে যায় তার। ঢাকার ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে পাঠিয়ে দেন যমুনার চরে। তারা ক্রয় করেন সকল ক্যাপসিকাম। এতে দ্বিগুন লাভ হয়। দূর্গম চরাঞ্চলে ক্যাপসিকাম চাষে তরুন কৃষক হৃদয় হাসানকে ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান আরো বড় পরিসরে চাষবাদ করতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।