লিয়াকত হোসাইন লায়ন : জামালপুরের ইসলামপুরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সাতটি ইউনিয়নের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
যমুনার পানি বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি হুহু করে বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার সাথে বানিয়াবাড়ী,দেলীরপাড়,গুঠাইল বাজার, ,আমতলী বাজার হতে ডেবরাইপ্যাচ,উলিয়া বাজার বামনা, শিংভাঙ্গা, উলিয়া, সোনামুখি, বেলগাছা, জারুলতলা,কুলকান্দি ও সদর ইউনিয়নের পচাবহলা,মলমগঞ্জ,শশারিয়াবাড়ীসহ পশ্চিমাঞ্চলের আটটি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে পৌর এলাকার নটারকান্দা সড়ক সহ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। চিনাডুলী ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের আলী বলেন, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে পানি উঠায় চরম ভূগান্তিতে পড়েছি। হাহাকার অবস্থায় মধ্যে আছি। চেয়ারম্যান সালাম জানান, পুরো ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হয়ে ২০হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো তলিয়ে গিয়েছে। ভানবাসী মানুষ খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। রাতারাতি পানি আসায় অনেকেরই জিনিষপত্র,হাঁস মুরগী ভেঁসে গেছে। বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মালেক জানান,পুরো ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
জানাগেছে,বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারন করায় উপজেলার ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫০টি মাধ্যমিক,৫টি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান- বন্যা আক্রান্তদের জন্য ১০৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ১২০ মে.টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান- প্লাবিত এলাকায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানশিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সকল চেয়ারম্যান,মেম্বার ও গ্রাম পুলিশদের সার্বক্ষনিক সতর্ক ও মেডিক্যাল টিমকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ধর্মমন্ত্রী আলহাজœ ফরিদুল হক খান দুলাল বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরী মত বিনিময় শেষে পাথশী ইউনিয়ন ও কুলকান্দি ইউনিয়ন বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রান বিতরণ করেছেন।