ইসলামপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের ফজলু হক আকন্দ কবিরাজের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়েছেন হাজারো মানুষ।এ ঘটনায় প্রতারণার স্বীকার লোকজনসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, ফজলু হক কবিরাজ দীর্ঘদিন যাবৎ সংসারে অশান্তি, স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব, বন্ধ্যাত্ব, পছন্দের মানুষকে পাইয়ে দেওয়া, যাদের বাচ্চা না হওয়া, অবাধ্য সন্তানকে নিয়ন্ত্রণে আনাসহ নানাবিধ সমস্যার সমাধান দিয়ে আসছিলেন। এ কাজে তার কাছে থাকা জ্বিন তাকে সহযোগিতা করে বলে তিনি রোগীদেরকে বোঝাতেন। এসব ক্ষেত্রে তিনি প্রতারণার অংশ হিসাবে প্রতিদিন তার নিজ বাড়িতে আসন বসান। এ সময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে যারা আসেন, তাদের কারো বাড়িতে শত্রুতাবশত তাবিজ, কারো বাড়িতে পুঁতে রাখা আছে এবং এ কারণেই বিভিন্ন সমস্যায় ভূগছেন বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে জ্বিনের সাহায্যে এসব তাবিজ বা মাটিতে তুলে এনে সমস্যার সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দেন। এজন্য তিনি মোটা অংকের টাকা ৮/১০ হাজার টাকার নেন। এরপর বাড়ি বন্ধ করার জন্য মোটা অংকের টাকা তাবিজ দেয়ার জন্য টাকা এবং জনপ্রতি প্রথম ২০০ টাকা করে নজরানা ফি নেন। কিন্তু জ্বিনের মাধ্যমে তাবিজ-কবজ তুলে আনার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রতারণা। তার প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ এর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ভন্ড জ্বীনের বাদশা নিউজ পত্রিকা প্রকাশ হলে সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন আইডি থেকে নারী কেলেঙ্কারি ও অতীতে পরকীয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিয়দের চেয়ারম্যান বলেন, আমার জানা মতে ফজলু হক আকন্দ ভন্ড জ্বীনের কবিরাজি ট্রেড লাইসেন্স দেইনি। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ ভন্ড ও প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তৌহিদুর রহমান জানান, এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসলামপুরে ভন্ড কবিরাজের খপ্পরে হাজারো মানুষ- জ্বিন দিয়ে সমস্যা সমাধান
