ইসলামপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন চর এলাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে মরিচের কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় হতাশ উপজেলার মরিচ চাষিরা। গত বছর লাভের মুখ দেখলেও এ বছর লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা তাদের। উপজেলার গোয়ালেরচর, চরগোয়ালিনী, চরপুটিমারি, গাইবান্ধা, সাপধরী, চিনাডুলী ও বেলগাছা ইউনিয়নে বেশি মরিচ চাষ হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ফলন ভাল হয়েছে। তবে বাজার মূল্য কম থাকায় উৎপাদন ব্যয় ওঠা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। কৃষকরা জানান, এবার মরিচের ফলন অনেক ভালো। তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় মরিচ গাছ মরেনি। এছাড়া এবার রোগবালাই ও পোকামাকড়ও আক্রমণ করেনি। কৃষি অফিসের পরামর্শে রোগবালাই দমনের জন্য সব ধরনের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফলন ভালো হলেও বাজারে মরিচের দাম কম। গুঠাইল হাটের মরিচ ব্যবসায়ী মিষ্টার আলম বলেন, উপজেলার মরিচ চাষিদের মাথায় হাত। তারা মরিচ চাষ করে হতাশা ছাড়া কোনো কিছু পাচ্ছে না। বাজারে মরিচের আমদানি বেড়ে গেছে এতে দাম কমে গেছে। মরিচ চাষি ওয়াহেদ জানান, এবছর কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে পারি নাই দাম না থাকায়, প্রতিবছরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করি কিন্তু এবছর কাঁচা মরিচ প্রাইকারি ১৫/২০ টাকা কেজি খুচরা ২০/২৫ টাকা এবং মণ প্রতি বিক্রি ৬০০/৭০০ টাকা যে টাকা মরিচ বিক্রি করি সেই টাকা মরিচ তোলা শ্রমিক দের দিতেই টাকা শেষ, সেইজন্য কাঁচা মরিচ বিক্রি না করে শুট মরিচ বিক্রির পরিকল্পনা করছি যাতে লাভবান হতে পারি। ইসলামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার এএলএম রেজুয়ান বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে তবে দাম নিয়ে হতাশ কৃষক, আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি, তারা আমাদের পরামর্শ নিয়ে দেশি বালিঝুড়ি সহ বিভিন্ন হাইব্রিড প্রজাতীর মরিচ চাষ করে বাম্পার ফলন পাচ্ছে চাষীরা। এবছর ইসলামপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৫২০শত হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
ইসলামপুরে মরিচের বাম্পার ফলনেও হতাশ কৃষকরা
