ইসলামপুরে শিক্ষক অপসারণের দাবীতে ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

আসমাউল আসিফ : জামালপুরের ইসলামপুরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির শিক্ষক ডা. শাহ মো: মোখলেছুর রহমানের অপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে নবম দিনের মত ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচি চলাকলে শিক্ষার্থী জান্নাত, হাবিবুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ, শরফুদ্দিন আলী সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে যোগদানের পর থেকেই প্রভাষক ডা. শাহ মো: মোখলেছুর রহমান পাঠদানে অবহেলা, হোস্টেলের সীট ও খাবার বাণিজ্যসহ নানাভাবে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রেখেছেন। শ্রেণীকক্ষে ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় ব্যয় করলেও পাঠদান করেন ১০ মিনিট। পাঠ্যসূচির বাইরে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি হোস্টেলের ছাত্রদের মাদকাসক্ত ও ছাত্রীরা দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত বলে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এসবের প্রতিবাদ করলে ক্লাশে অনুপস্থিত দেখানে, পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা নাম্বার কমিয়ে দেয়া, সীট বাতিল ও ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দেন, তাছাড়াও অভিভাবকদের ডেকে এনে হয়রানি করেন। শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর তাদের হোস্টেল সুপারগণ রাতের অন্ধকারে হোস্টেল ত্যাগ করেছেন। আন্দোলন চলাকালে একটি মহল শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ত্যাগসহ আন্দোলন স্থগিতের হুমকি দিয়ে আসছে, এতে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। ইনস্টিটিউটে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ডা. শাহ মো: মোখলেছুর রহমানের অপসারণ দাবী তাদের। দাবী পুরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায় ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। গত ১৯ মে থেকে দাবী আদায়ে টানা নবম দিনের মত কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে শিক্ষক ডা. শাহ মো: মোখলেছুর রহমান জানান, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে আমি যোগদান করি। ক্লাশ বন্ধ থাকায় এখন আমি ইনস্টিটিউটে যাচ্ছি না। শিক্ষার্থীরা বয়সে অনেক ছোট তারা না বুঝেই আন্দোলন করছে। শিক্ষার্থীদের সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ ডা. মুজিবুর রহমান জানান, আগামী ৩১ মে স্থানীয় সংসদ সদস্য ধর্ম মন্ত্রী ইসলামপুরে আসবেন, তিনি আসার পর বিষয়টি সমাধান করবেন। আপাতত শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।