নিজস্ব প্রতিনিধি : ইসলামী শাসন ব্যাবস্থার” দাবীতে প্রেসক্লাবের সামনে মুসলিম ওয়ার্ল্ড এর আয়োজনে (২২ফেব্রুয়ারী ) শনিবার মানববন্ধন কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত মানববন্ধনে অবসর প্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক উদ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ও ইসলামী দল সমুহের নেতৃবর্গ, ও অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড এর আহবায়ক মেজর মোঃ মাছউদুল হাছান(অবঃ) এবং পরিচালনা করেন জনাব আহসান উল্লাহ শামীম।
বক্তাগন বাংলাদেশে ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান । তারা বলেন,বাংলাদেশের ৯১.০৪ শতাংশ জনগন মুসলিম । ইসলামে সার্বভৌমত্বের মালীক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।তাই মানবরচিত শাসনব্যাবস্থায় এ রাষ্ট্র পরিচালিত হতে পারে না।। বক্তাগন আরও বলেন মুসলমানের ঐক্যের ভিত্তি হবে- প্রথমতঃ এক আল্লাহকে বিশ্বাস করা যিনি সর্বশক্তিমান, দ্বিতীয়তঃ হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে আল্লাহর রাসুল হিসাবে বিশ্বাস করা এবং চুড়ান্তভাবে কুরআন, হাদিস, ইসমা এবং কিয়াসে বিশ্বাস করা।
মুসলিম বিশ্বের আহ্বায়ক সভাপতি মেজর মোঃ মাছউদুল হাছান(অবসরপ্রাপ্ত) বলেন যে, বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা শুরু হয় দয়াময়,পরম দয়ালু, আল্লাহর নামে,/ পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে, যা “সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি পরম আস্থা ও বিশ্বাস” কে প্রকাশ করে। একই সাথে সংবিধানের ২ক অনুচ্ছেদ অন্য ধর্মের সমান অধিকার এবং সমান মর্যাদা নিশ্চিত করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করে ।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে সংবিধানের ৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা-এই নীতিসমূহ এবং তৎসহ এই নীতিসমূহ হইতে উদ্ভূত দ্বিতীয় ভাগে বর্নিত অন সকল নীতি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলিয়া পরিগনিত হইবে। সংবিধানের ৯, ১০, ১১ এবং ১২ অনুচ্ছেদ এই নীতিসমূহকে আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে। ২০২২ সালের জাতীয় আদমশুমারি অনুসারে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯১.০৪% মুসলিম যারা ইসলামী শাসন ব্যাবস্থায় বিশ্বাস করে।তাই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং সমাজতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে ইসলাম ও ইসলামী শাসন ব্যাবস্থা। এ ছাড়া ইসলামী শাসনব্যাবস্থা ইজমা ও কিয়াসের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র অনুসরণ করে। সংবিধানের ১২ নং ধারায় ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে তা ইসলামী শাসন ব্যাবস্থার নীতিমালা দ্বারাও সমর্থিত।
আহ্বায়ক সভাপতি মেজর মোঃ মাছউদুল হাছান(অবসরপ্রাপ্ত) ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী শাসন প্রতিষ্ঠায় অতীতের রাজনৈতিক সরকারগুলির অবহেলার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার মতে বাংলাদেশের নাগরিকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে মুসলিম।তাদের বিশ্বাস এবং আকাঙ্ক্ষার সাথে সঙ্গতিপুর্ন ইসলামি আইনই কেবল মাত্র দেশে শান্তি ও সমৃদ্বি এনে দিতে পারে।
অবশেষে আহ্বায়ক সভাপতি মেজর মোঃ মাছউদুল হাছান(অবসরপ্রাপ্ত) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বাংলাদেশের ৯১.০৪% মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সংবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ইসলামী শাসন ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
বক্তাগন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েম করার জন্য দাবি জানান ও স্মারকলিপি প্রেরন করেন। বিষয়টিকে গূরুত্বের সাথে বিবেচনা করার করার জন্য সকল কর্তৃপক্ষকে আহবান করা হয়।