নিজস্ব প্রতিবেদক: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম জাতীয় কমিটির মহাসচিব ও উখিয়া উপজেলার পালং খালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন,শিক্ষকরা সমাজের আলোকবর্তিকা। তাদের প্রতি অন্যায় আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শিক্ষা কার্যক্রমে স্থানীয় হোস্ট শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ মানবাধিকারের পরিপন্থী। শিক্ষকদের হঠাৎ করে তাঁদের চাকরিচ্যুত করা অন্যায় ও অমানবিক। এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী অবিলম্বে সম্মানিত শিক্ষকদের পুর্নবাসন পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।’
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন -প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ন্যায়সংগত সমাধানের চেষ্টা করার জোরদাবী জানাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রমে অবদান রাখা এসব শিক্ষক হঠাৎ চাকরি হারানোর ফলে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পুরো সমাজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত স্থানীয় হোস্ট শিক্ষকরা চাকরিচ্যুতির কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের চাকরিচ্যুত করার ফলে তারা পরিবার নিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। এতে প্রতিবাদে শিক্ষকরা সড়ক অবরোধ ও আমরণ অনশনের মতো কর্মসূচি পালন করছেন আমি অবিলম্বে সম্মানিত শিক্ষকদের পুনর্বহালের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রায় চার হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। চাকরি হারিয়ে এসব শিক্ষক বেকার হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ একটি মানবিক উদ্বেগ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
শিক্ষকদের মানবিক বিষয়গুলো আরআরআরসি ও ইউনিসেফের দায়িত্ব। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আশ্রয়শিবিরে সাড়ে চার হাজারের অধিক শিক্ষাকেন্দ্র চালু আছে। এসব ‘লার্নিং সেন্টারে’ প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার শিশু পড়াশোনা করে।
তিনি আরও বলেন, গত জুনে তহবিল সংকটের কারণ দেখিয়ে শিক্ষকদের ছাঁটাইয়ের কথা জানায় জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল- ইউনিসেফ।
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের আটক করা ছিল চরম অমানবিক, শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে ২৭ জন সম্মানিত শিক্ষককে ছেড়ে দেয়ায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানই। ২৫ অগাস্ট প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার সফরে আসবেন। তার আগে শিক্ষকদের সমস্যার আশু সমাধান করবেন বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্তকরেন।