উত্তরে বাড়ছে গাড়ি, ভোগাতে পারে এলেঙ্গা মহাসড়ক 

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। এখনো উত্তরের মহাসড়কে ঈদযাত্রার চাপ সেভাবে না পড়লেও গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত থেকে বেড়েছে গাড়ির সংখ্যা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়বে।

তবে চাপ বাড়তে থাকলেও এবার সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যানজটের সম্ভাবনা দেখছে না কর্তৃপক্ষ। তবে উত্তরের যাত্রীদের ভোগাতে পারে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বের এলেঙ্গা মহাসড়ক।

আজ শুক্রবার সকালে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শাহাবুদ্দিন খান ও সংশ্লিষ্ট হাইওয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কাল (বৃহস্পতিবার) রাত থেকে মহাসড়কে গাড়ি কিছুটা বেড়েছে। তবে এবার মহাসড়কের অবস্থা যেহেতু ভালো আছে তাই এটাকে চাপ বলা যাবে না। সময়ের সঙ্গে গাড়ি আরও বাড়বে। তবে এবার সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যানজটের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আমরা যাত্রী এবং গণপরিবহনের নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্তে চলাচলে সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও হাইওয়ে পুলিশের প্রধান শাহাবুদ্দিন খান মুঠোফোনে বলেন, আমরা দেশের পুরো মহাসড়কেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা ও যানজট মুক্ত রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছি।

চাপ বাড়লে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, টাঙ্গাইলে চার লেনের রাস্তা দিয়ে গাড়িগুলো এলেঙ্গায় এসে যখন সিঙ্গেল লেনে ঢুকবে তখন স্বাভাবিকভাবেই ওই গাড়ির চাপ এই সিঙ্গেল লেন নিতে পারবে না। যার ফলে গাড়ির প্রচুর চাপ পড়লে কিছুটা যানজট হতে পারে। তবে আমাদের দিক থেকে সেগুলো মাথায় রেখেই সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও হাইওয়ে পুলিশের প্রধান শাহাবুদ্দিন খান। তার আগের দিন সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান।