গাজা উপত্যকায় একটি বেলজিয়ান উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কার্যালয়ে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা ফেলার জেরে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহবিব এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম এক্সে বোমায় বিধ্বস্ত এনজিও কার্যালয়টির ছবি পোস্ট করে হাদজা লাহবিব বলেন, ‘বেসামরিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
এক্সপোস্টে হাদজা আরো জানান, তিনি এবং বেলজিয়ামের উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রি ক্যারোলিন গেনেজ যৌথভাবে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছেন।
এ ইস্যুতে এখনও আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইসরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জন ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিককে।
বস্তুত, ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে সেদিন প্রথম একদিনে এতজন মানুষের হত্যা দেখেছে ইসরায়েল। অভূতপূর্ব সেই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এবং তার এক সপ্তাহ পর বিমান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার বোমাবর্ষণে গত প্রায় সাড়ে চার মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ২৭ হাজার ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার এবং ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে ধসে যাওয়া বিভিন্ন ভবনের ধ্বংস্তূপের নীচে এখন ও চাপা পড়ে আছেন অন্তত কয়েক হাজার মানুষ।
গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘোষিত এক মানবিক বিরতির সাত দিনে মোট ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বাকি ১৩২ জন এখনও তাদের হাতে আটক রয়েছেন।
সূত্র : সিএনএন