মোহাম্মদ আলী : দিনটা ছিল শনিবার। সকাল থেকে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। ইতোমধ্যে দুই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। এমন বৈরী আবহাওয়ায় উপজেলাবাসীর যাতায়াতের দুর্ভোগ সরেজমিন প্রত্যক্ষ করতে বেরিয়ে পড়লেন অফিস থেকে। সড়কের পাকা সীমানা ছাড়িয়ে পায়ে হাঁটতে শুরু করলেন অজোপাড়াগাঁয়ের কর্দমাক্ত মেঠোপথে। ঘুরে ঘুরে দেখলেন ঝুঁকিপূর্ণ নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো, ধসে যাওয়া পাকা সড়কসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে চলমান টিআর কাবিখা কাবিটা প্রকল্পের কাঁচা রাস্তাগুলো।
একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন কাদামাটির উপর সরব পদচারণা দেখলেন গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ। আর বিস্ময় তাকিয়ে থেকে ফিসফিস করে বল্লেন, ইউএনওরা এমন হয়?
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ঘিরে এমন মন্তব্য করেছেন নাংলা ইউনিয়নবাসী।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন এদিন নাংলা ইউনিয়নের টিআর কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি চিনিতুলা গ্রামের বড়খালের উপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ও নলকুড়ির মাদারদহের ব্রিজের সামনে ধসে যাওয়া পাকা সড়কটিও প্রত্যক্ষ করেন।
এসময় তার সাথে ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, হাবিবুর রহমান সুমন।
পরিদর্শন শেষে মন্তব্য করতে গিয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসএম আলমগীর হোসেন বলেন, টিআর কাবিখা প্রকল্পের কাজগুলো এখনও চলমান। চুড়ান্ত বিল দেওয়ার আগে আমরা আরেকবার দেখব। খালের উপর বাঁশের সাঁকোটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এর উপর দিয়ে দুই তিন গ্রামের মানুষ যাতায়াত ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা যায় কি না সেবিষয়ে খতিয়ে দেখতে পিআওকে নির্দেশ দিয়েছি। আর বড়খাল ব্রিজের ধসে যাওয়া পাকা সড়টির ব্যাপারে প্রাথমিক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে এব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পায়ে হেঁটে প্রত্যক্ষ করলেন জনদুর্ভোগ
