মোহাম্মদ আলী ; চারিদিকে শ্মশান নিরাবতা। মানুষজনের নেই কোনো আনাগোনা। বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরণের পাদচারণা। গাছের ঝড়া পাতায় ঢেকে গেছে পথ। চারিদিকে থমথমে নিরবতা। কোথাও যেন কেউ নেই। এরই মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিরান ভবন, নাম তার বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ!
বছরেরও অধিক সময় ধরে জামালপুর জেলার উপজেলা পরিষদগুলো এভাবে কর্মচাঞ্চল্যহীন অন্তঃসারশূন্য কঙ্কালের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে।
অথচ দেড় বছর আগেও বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদটি জেলার অন্যান্য উপজেলা পরিষদের ন্যায় কর্মচাঞ্চল্যময় প্রাণবন্ত ছিল। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি জনগণের আনাগোনায় মুখরিত থাকত।
কত হাসি আনন্দ, কত অভিযোগ অনুযোগ, বিচার শালিস, কত প্রার্থণা আবদার নিয়ে দুঃখী, দরিদ্র এবং বিপদগ্রস্ত মানুষ ছুটে আসত এখানে। এছাড়া কত সাহায্য প্রার্থী, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা, গৃহহীন বাস্তহারা মানুষের আকুতি মিনতি ও চাওয়া পাওয়ার এক আশ্রয়স্থল ছিল এই উপজেলা পরিষদ।
সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দাপ্তরিক কাজে কত প্রস্তাবনা, অনুমোদন ও সিদ্ধান্তের প্রয়োজনে নথিপত্র বগলে চেপে আসা যাওয়া করতেন এখানে। জনপ্রতিনিধি ও জনগণের গমনাগমনের গাড়ি ঘোড়ার আওয়াজ ও হর্ণের শব্দে মুখরিত ছিল। দিনভর চলত আতিথিয়েতা আপ্যায়ণ।
আজ আর তার কিছুই নেই। হারিয়ে গেছে সব। সবই এখন স্মৃতি। গুটি কয়েক কর্মচারী তাদের বেতন হালাল করতে ভবনটি প্রহরা দিচ্ছে মাত্র!
এব্যাপারে বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান, মোঃ আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, সময় পরিবর্তনশীল। কালকে দেশটা যেমন ছিল আজ তেমন নেই। আজ যেমন আছে কাল হয়তো এমন থাকবে না। এটাই চিরন্তন এটাই সত্য।
উপজেলা পরিষদগুলো এখন জনমানবহীন ভুতুড়ে বাড়ি
