কয়েক বছর আগে নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলে অভিষেক হলেও খুব বেশি খেলা হয়নি পেসার কাইল জেমিসনের। যার প্রধান কারণ ইনজুরি। যা উচ্চতায় বেশ দীর্ঘকায় এই পেসারের ক্যারিয়ারের বড় একটা সময়ের সঙ্গী। সম্প্রতি ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তিনি ৬ উইকেট পেয়েছিলেন। এরপরই পিঠের ব্যথায় খেলা হয়নি দ্বিতীয় টেস্ট। এবার জানা গেল– পিঠে ‘স্ট্রেস ফ্র্যাকচার’ ধরা পড়ায় জেমিসনকে এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হবে।
এর আগেও পিঠের যে জায়গায় অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল ২৯ বছর বয়সী এই পেসারের, এবারও তিনি একই জায়গা চোট পেয়েছেন। যদিও এবার আর তাকে অস্ত্রোপচার করানো না লাগলেও, এই চোট আরও ভয়ঙ্কর। পেসারদের জন্য ‘স্ট্রেস ফ্র্যাকচার’ সাধারণত খুবই বাজে ধরনের চোট। কখনও কখনও এটা ক্যারিয়ারঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। যে চোট থেকে পুনবার্সনের জন্য দীর্ঘ শারীরিক ও মানসিক ধকল সামলাতে হবে জেমিসনকে।
তিনি নিজেও মানসিকভাবে শক্ত থাকার বিষয়ে মনস্থির করেছেন, ‘আমি জানি যে চোটাঘাত একজন ক্রিকেটারের জীবনের অংশ এবং আশা করি, আমার যে বয়স, খেলোয়াড়ি জীবনের আরও অনেক বছর বাকি আছে আমার। কীভাবে এগোব, সেটির ছক করা হয়েছে। তবে জানি যে, যে প্রতিবন্ধকতাগুলো টপকাতে হবে, সেখানে মানসিক ও আবেগের দিকটাই মূল, শারীরিক লড়াইটাই সবচেয়ে সহজ।’
বড় চোট থেকে ফিরে আবারও একইভাবে ছিটকে যাওয়ার বিষয় সামলানো কঠিন, তবে একে পথচলার অংশ বলে মেনে নিতে চান জেমিসন, ‘মাসের পর মাস লড়াইয়ে পর দেখা যাবে, মাত্রই অর্ধেক পথ শেষ হয়েছে এবং আরও অনেকটা সময় বাকি আছে। এটা কঠিন, কারণ এই প্রক্রিয়ায় কেউই বারবার যেতে চায় না। প্রতিবারই মনে হয়, আশা করি এবারই শেষ। কিন্তু আমার উচ্চতা ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি, আমি ফাস্ট বোলার। কাজেই এসব আমার পথচলারই অংশ।’
দক্ষিণ আফ্রিকার একেবারে নতুন একটি দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট খেলেছে কিউইরা। যেখানে জেমিসন খেলতে পারেন কেবল প্রথম ম্যাচ। সেই টেস্টে ৬ উইকেট নেওয়ার পথে পিঠে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। ফলে দ্বিতীয় টেস্ট আর খেলতে পারেননি। পরে স্ক্যান করিয়ে ধরা পড়ে এই চোট। জেমিসনের পরিবর্তে কিউই একাদশে অভিষেক হয় উইলিয়াম ও’রুকের। অভিষেকেই ২২ বছর বয়সী এই পেসার ৯ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েন।
উল্লেখ্য, অনেক আশা জাগিয়ে শুরুর পরও জেমিসনের সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার বারবার চোটের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গত দেড় বছরে মাত্র ৩টি টেস্ট, ৫টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে পেরেছেন তিনি। মাঠের ভেতরের চেয়ে বাইরেই বেশি থাকতে হচ্ছে তাকে। এখন পর্যন্ত ১৯টি টেস্টে ৮০, ১৩ ওয়ানডেতে ১৪ এবং ১৩টি টি-টোয়েন্টিতে ১৩ উইকেট পেয়েছেন জেমিসন।