কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় জন্ম নিবন্ধন পেতে ইউনিয়ন পরিষদে ঘুরেও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকার মানুষজন। অভিযোগ রয়েছে, চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের সহকারী সচিব পলাশ নানান অজুহাতে এসব লোকজনকে হয়রানি করছেন। কেউ আবার বাড়তি টাকা দিলে দ্রুত জন্মদিন পাচ্ছেন।
জানা গেছে, চিলমারী ইউনিয়নের ঢুষমারা গ্রামের আব্দুর রহিম তার স্ত্রী-সন্তানের জন্ম নিবন্ধন পেতে এক মাস ধরে ঘুরছেন। তার কাছে একের পর এক কাগজ চাওয়া হচ্ছে। সব কিছু দিলেও তিনি এখনও জন্ম নিবন্ধন পাননি। ওই ইউনিয়নের লুৎফর রহমান তার স্ত্রী, ছেলে এবং নিজের জন্ম নিবন্ধন করতে দিয়েছেন ১৮ দিন আগে। তিনিও এখনো
জন্ম নিবন্ধন করাতে পারেননি। এমন আরও অনেক ভুক্তভোগী রয়েছে ওই ইউনিয়নে।
ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম বলেন, এক মাস আগে জন্ম নিবন্ধন আবেদন জমা দিয়েছি ৪ জনের। পলাশ (সহকারী সচিব) ৬০০ টাকা চাইছে, পরে আমি ৫০ টাকা কম দিয়ে ৫৫০ টাকা দিছি। কিন্তু জন্ম নিবন্ধন চাইলে আজকে দেয়, কালকে দেয়। এভাবে ঘুরাইতেছে।
লুৎফর রহমান নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ১৮ দিন থেকে ঘুরছি এখনো জন্ম নিবন্ধন নিতে পারি নাই। আজকাল করে চলছে।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের সহকারী সচিব পলাশ বলেন, আমি পারিবারিকভাবে একটু ঝামেলায় আছি, আমার বাবা অসুস্থ। এ কারণে জন্ম নিবন্ধনে কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, চরের মধ্যে নেটওয়ার্ক সমস্যা হওয়ায় সদরে একটি অফিস করে দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ ভোগান্তির শিকার না হন। এ নিয়ে সচিবদের বলা আছে।
এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।